ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে দেশটিতে অবস্থান করা ১৫ দিন বা তার চেয়ে কম সময় ভিসার মেয়াদ আছে এমন বাংলাদেশি নাগরিকদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মানার শর্তে দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দেশটিতে অধ্যয়নরত স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও বিশেষ এই ব্যবস্থায় দেশে ফেরার এই সুযোগ দিচ্ছে সরকার।

সোমবার (৩ মে) ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে এক বৈঠকে বসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত আসে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মূলত ভারতের বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তাদের দেশে ফেরার সুযোগ দিচ্ছে। তবে এসব শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরার পর ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের করোনা পরিস্থিতির কারণে সেখানকার স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেকগুলো ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতে থাকা কঠিন হবে। মূলত অনেক পরিবার মন্ত্রণালয়ে তাদের সন্তানদের দেশে ফেরাতে অনুরোধ করেছে। তাই সরকার তাদের ফেরার সুযোগ দেবে। খুব দ্রুতই তাদের ফেরত আনা হবে। এসব শিক্ষার্থীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মানতে হবে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সীমান্ত বন্ধের কারণে ভারতে বাংলাদেশি যেসব ক্ষুদে শিক্ষার্থী আটকা পড়েছেন তাদের বেশিরভাগই দার্জিলিং শহরের স্কুলগুলোতে অধ্যয়নরত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রায় শতাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থীর পরিবার সন্তানদের দেশে ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করেছেন।

উল্লেখ্য, ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় গত ২৬ এপ্রিল থেকে দেশটির সঙ্গে সব সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। আগামী ৯ মে পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার কম রয়েছে, তারা যথাযথ অনুমোদন সাপেক্ষে বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এনআই/এমএইচএস