ভারতের সঙ্গে টিকা নিয়ে যে চুক্তি ছিল তা ভেঙে গেছে। বর্তমানে ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবস্থা ভয়াবহ। কোভিড নিয়ে মহা সমস্যায় আছে ভারত। তাছাড়া দেশটি চাহিদা অনুযায়ী নিজের দেশেই টিকা দিতে পারছে না। যার ফলে ভারতের সঙ্গে টিকা প্রাপ্তির চুক্তিটি ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার (৪ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে ভারত থেকে করোনার টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘করোনার টিকা সরবরাহে ভারতের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল, সেটা ভেঙে গেছে। চুক্তি থেকে আইনগতভাবে বের হওয়ার কোনো পথ নেই। আইনগত, নৈতিক সকল দিক থেকেই আমাদের অবস্থান খুবই স্ট্রং (শক্ত)। কিন্তু একটা জিনিস তো স্বীকার করতেই হবে, ভারতের যে দুরবস্থা, তা আনন্দের বিষয় নয়। দেশটি নিজের দেশের জনগণদের রেখে আমাদের টিকা সরবরাহ করবে বলে আমার মনে হয় না। তবে ভারত টিকা না দিলেও কয়েকটি দেশ থেকে টিকা পাওয়া যাবে। কিন্তু করোনা রোগীদের যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে অক্সিজেন। যেটার সমস্যা বর্তমানে দেশে নেই। আমাদের আস্থা আছে ভবিষ্যতেও কোনো সংকট হবে না অক্সিজেনের।

মন্ত্রী বলেন, ভারতে যারা টিকা তৈরি করে, তাদের বক্তব্য ইন্টারনেটে শুনেছি। তাদের যে সক্ষমতা তা শেষ পর্যায়ে আছে। তারা এত টিকা তৈরি করতে পারছে না। সুতরাং এটা জটিল ব্যাপার। করোনায় বিপর্যস্ত ভারতকে সম্ভব হলে বাংলাদেশ সহায়তা করবে। ভারতের প্রতি আমাদের সমবেদনা আছে। করোনায় ভারতে যে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেরকম কিছু বাংলাদেশে হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ও ব্যয় প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। বর্তমানে হয়তো কিছুটা বাস্তবায়ন কম দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয়েছে, হয়তো বিল এখনো পেমেন্ট হয়নি। বিল পেমেন্ট হলে বা অর্থবছর শেষে এডিপি বাস্তবায়ন অনেক বেড়ে যাবে।
 
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহও ভালো, সুতরাং ১৬ থেকে ১৭শ প্রকল্প চলমান। সমস্যার কিছু দেখি না। আমাদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। টাকার কোনো সমস্যা হবে না।

এসআর/এনএফ