সিঙ্গাপুরে সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির সরকার নতুন কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে।

বিধিনিষেধে সামাজিক জমায়েত আটজন থেকে পাঁচজনে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এক জায়গায় পাঁচজনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না। বাসা বাড়িতেও একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি অতিথি আপ্যায়ন করা যাবে না।

সিঙ্গাপুর সরকারের দেওয়া নতুন এই বিধিনিষেধে আরও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগে ৭৫ ভাগ লোক অফিসে কাজ করতে পারতো। কিন্তু এখন ৫০ ভাগ লোক অফিসে কাজ করতে পারবে। বাকিদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে।

এ বিষয়ে দেশটির শিক্ষামন্ত্রী লরেন্স ওয়াং বলেন, নতুন বিধিনিষেধ দেখে মনে হতে পারে আমরা সার্কিট ব্রেকারের দ্বিতীয় ধাপে ফিরে গেছি। কিন্তু তা নয়। আশা করি আমাদের আরেকবার সার্কিট ব্রেকারে যেতে হবে না। করোনা মোকাবিলায় নতুন এই বিধিনিষেধ ৮ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত চলবে।

ওয়াং বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে নিয়ে আসার এটাই উত্তম সময়। এটি বড় ধরনের ক্লাস্টার গঠনের ঝুঁকি কমাবে।

নতুন বিধিনিষেধে আরও রয়েছে, যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে ২৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। মিউজিয়াম ও পাঠ্যকেন্দ্রে ৫০ ভাগে উপস্থিতি নামিয়ে আনতে হবে। খেলার মাঠে দর্শক থাকতে পারবে না। ধর্মীয় উপাসনালয়ে ১০০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। এছাড়া সবাইকে বাধ্যতামূলক ট্রেস টুগেদার অ্যাপ অথবা ট্রেস টুগেদার টোকেন ব্যবহার করতে হবে।

সিঙ্গাপুরে আগমনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী লরেন্স ওয়াং বলেন, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সিঙ্গাপুরে আসতে হলে ৮ মে থেকে ২১ দিনের স্টে হোম নোটিশে থাকতে হবে। যারা ইতিমধ্যে স্টে হোম নোটিশে আছেন, ৮ মে-এর মধ্যে তাদের স্টে হোম নোটিশ শেষ না হলে অতিরিক্ত আরও সাতদিন থাকতে হবে।

বিধিনিষেধে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, চীন, নিউজিল্যান্ড, তাইওয়ান, হংকং, মাকাউ ছাড়া সব দেশকেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সিঙ্গাপুরে নতুন এই নিয়মগুলো জারি করা হয়েছে। মাল্টি টাস্কফোর্সের সহ-সভাপতি লরেন্স ওয়াং বলেন, বর্ডার বা সিঙ্গাপুরের এই নিয়মকানুন মে মাসের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এমএইচএস