ঢাকা-বেইজিংয়ের যৌথ বিবৃতি
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না চীন
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না চীন। পাশাপাশি এক চীন নীতির প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর শেষে ঢাকা-বেইজিংয়ের যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-বেইজিং উভয়পক্ষ একে অন্যের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, একে অপরের মূল স্বার্থ, প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলোতে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সমর্থনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
চীন দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভিশন ২০৪১ এর অধীনে পরিকল্পিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং স্বাধীনভাবে তার জাতীয় অবস্থার সঙ্গে উপযোগী একটি উন্নয়ন পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
উভয়পক্ষ জোর দিয়েছে যে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজ্যুলেশন ২৭৫৮ প্রশ্নাতীত এবং কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাংলাদেশ এক চীন নীতি এবং তার অবস্থানের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, চীন সরকার সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাইওয়ান চীনের অংশ। বাংলাদেশ চীনের মূল স্বার্থ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের প্রচেষ্টা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে চীনকে সমর্থন করে।
যৌথ ঘোষণা উভয়পক্ষ কৌশলগত যোগাযোগ বাড়াতে বহুপাক্ষিক অনুষ্ঠানে সফর, চিঠি বিনিময় এবং বৈঠকের মাধ্যমে কৌশলগত পারস্পরিক বিশ্বাসে আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
উভয়পক্ষ সরকারি ও জনগণের পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সহযোগিতার জন্য সম্মত হয়েছে। উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের ইস্যুতে মতামত বিনিময়ের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিশেষ করে শাসক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে ৮-১০ জুলাই বেইজিং সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধানের বেইজিং সফরে দেশটি বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দেয়। এছাড়া, বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্ব থেকে ব্যাপক অংশীদারিত্বে নিতে ২১টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। পাশাপাশি সাতটি ঘোষণাপত্র সই হয়।
এনআই/কেএ