বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) ঘিরে তৈরি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ বছরের জন্য মাস্টার প্ল্যান। যাতে করে চিকিৎসা সেবা ও গবেষণায় দেশসেরা এই হাসপাতালটি পরিণত হবে আন্তর্জাতিক মানের একটি সর্বাধুনিক চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্র।

বুধবার (৫ মে) এ উপলক্ষে শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের একটি চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছরকে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুরাতন ভবনসমূহ ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ, বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রয়োজনীয় নতুন নতুন ভবন ও স্থাপনা সমূহ নির্মাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান, সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লকের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি কমিটির সঙ্গে একটি সভায় মিলিত হন।

সভায় উপাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের লাইব্রেরিগুলোর সংযোগ স্থাপন করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ছাত্র ও শিক্ষকদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়ক সফটওয়্যারের ব্যবস্থা করা, উন্নতমানের আর্কাইভ তৈরি, মেডিকেল শিক্ষা বিষয়ক প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহ করা ইত্যাদির মাধ্যমে এই লাইব্রেরিকে আরও উন্নত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের এই লাইব্রেরিকে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার ও চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণা কর্মকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ডা. মো. হারিসুল হক প্রমুখ।

দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিলেন ১৪০০ জন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে বুধবার (৫ মে) পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও মোট ১ হাজার ৪০০ জন করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। হাসপাতালটিতে গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৬৪ জন এবং বুধবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩২ হাজার ৬০১ জন।

বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে বুধবার পর্যন্ত পর্যন্ত ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৫৫ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে এ পর্যন্ত ৯৩ হাজার ৯ শত ৮৫ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। অন্যদিকে করোনা ইউনিটে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৯৮ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৮০০ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ হাজার ৬২ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৯৩ জন রোগী এবং আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১১ জন রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৭ জন।

টিআই/এসএসএইচ