ঈদে ১০ দিনের ছুটির দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে রাস্তায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ভাষানটেক কাফরুল এলাকা থেকে শনিবার (৪ মে) সকালেই মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় জড়ো হয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে। 

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে আরও জানা যায়, শুধু ঈদের ১০ দিনের ছুটি দিলেই চলবে না সঙ্গে দূরপাল্লার যানবাহনও চালু করতে হবে। লঞ্চ, ট্রেন ও বাস চালু না থাকলে তারা বাড়ি যেতে পারবে না। তাই ছুটির পাশাপাশি যানবাহন চালুও দাবি জানান শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শ্রমিক আমজাদ হোসেন বলেন, আজ বিকেলে বিজিএমইএ ভবনে আমাদের দাবির বিষয়ে মিটিং হবে বলে মালিক পক্ষ জানিয়েছে। তাই আমাদের আন্দোলন আপাতত স্থগিত করছি। তবে ১০ দিনের ছুটির দাবি ও দূরপাল্লার যানবাহন চালু করার দাবি মানা না হলে আমরা আবারও রাস্তায় নামব।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করলেও বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে শ্রমিকরা। এসময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় দুটি বাস ভাঙচুর করে ও পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা মিরপুর ১০ নম্বর মোড় থেকে কাফরুল, মিরপুর-১, পল্লবী ও আগারগাঁও পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ থাকে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের।

পরে দুপুর ১টার দিকে বিজিএমইএর লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় আলোচনা বসে শ্রমিকরা। পরে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে দেড়টার দিকে রাস্তা ছাড়েন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এরপর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে দ্রুত দাবি মানা না হলে আবারও রাস্তায় নামবেন বলে হুশিয়ার উচ্চারণ করবেন।

এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিজিএমইএ ও পুলিশের আশ্বাসে শ্রমিকরা আপাতত রাস্তা ছেড়েছে। তাদের দুই দফা দাবির বিষয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে বিজিএমইএ ভবনে গার্মেন্টস মালিক, শ্রমিকরা ও বিজিএমইএর লোকজন মিটিংয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাসেই শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়েছেন। এখন মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে রাজধানীর ভাষানটেক ও কাফরুল এলাকার কয়েকটি গার্মেন্টস শ্রমিকরা জড়ো হয়ে আজ বেলা ১১টা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে। এ সময় তারা দুটি বাস ভাঙচুর করাসহ রাস্তায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশ  শুরু থেকেই বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছে।

এমএসি/ওএফ