সড়কে নেই গাড়ির চাপ

ঘড়িতে দুপুর ১টা। রাজধানীর শুক্রাবাদ চেক পোস্ট। পুলিশের অনেক সদস্যের উপস্থিতি থাকলেও সড়কে গাড়ির চাপ একাই সামলাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ইমরুল হোসাইন। সোমবার (১০ মে) শবে কদরের সরকারি ছুটি বলেই সড়কে গাড়ির চাপ তেমন নেই। তাই তিনি সহজেই সামলে নিচ্ছেন সড়কের পরিস্থিতি।

ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে ইমরুল বলেন, সকাল থেকে গাড়ির চাপ অনেক কম ছিল। আসলে ছুটির দিন তো, তাই লোকজন খুব একটা বের হয়নি। তবে বেলা ১২টার পর থেকে গাড়ির উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে অন্য পুলিশ সদস্যরা সড়কে থাকায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে, কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেছে।

একইদিন রাজধানীর শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ধানমন্ডির প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ির চাপ নেই বললেই চলে। গাড়ির সংখ্যাও ছিল খুবই কম। বিশেষ করে সকালের দিকে তো সড়কগুলো একেবারেই ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের আনাগোনা। মূলত কেনাকাটার উদ্দেশ্যে শপিংমলে যেতেই এসব মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন।


 
ধানমন্ডির কলাবাগান সড়কে কথা হয় আরিফ নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদের কেনাকাটার জন্যই তিনি বের হয়েছেন। একই সড়কে পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দা নাজনীনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, নিউ মার্কেট থেকে কিছু কেনাকাটার জন্য বের হয়েছি। আজ ছুটির দিন, এখন রাস্তা একটু ফ্রি আছে।

সড়কে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে বাসের উপস্থিতিও সেই অর্থে দেখা যায়নি। বেলা বাড়ার পরও বাসের পরিমাণ গতকালের মতো নেই। তাছাড়া, রিকশা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলের চলাচলও কম।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ জারি করে। পরে তা কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। সবশেষ প্রজ্ঞাপনে তা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে বিধিনিষেধ চলার মধ্যেই ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়। পরে খুলে দেওয়া হয় গণপরিবহন। 

এনআই/আরএইচ