খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা এবং তার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিনে সরকারের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে, তাতে বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না। 

তিনি বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে আইনি বাধার কথা আইন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসার নজির এ দেশে রয়েছে।

সোমবার (১০ মে) সংবাদ মাধ্যমে নাগরিক ঐক্যের সদস্য সাকিব আনোয়ারের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন মান্না।

মান্না বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবকে ১৯৭৯ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানি পাঠানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে মানবিক বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল সবার আগে। বেগম জিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটি আমি আশা করেছিলাম। বিএনপির নেতাদের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, তার ফুসফুস এবং পেটে পানি এসেছে। যা ৭৬ বছর বয়সী একজন মানুষের জন্য খুবই মারাত্মক। এই মুহূর্তে ওনার সার্বক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে নাজুক অবস্থা তাতে দেশে থেকে ওনার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে মানবিক দিক বিবেচনায় সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী এবং একজন বীর উত্তমের স্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু এক্ষেত্রেও সরকার তাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বের হতে পারল না। 

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও সরকার মানবিক মূল্যবোধের ন্যূনতম পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলো। যে প্রতিহিংসার সংস্কৃতি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার চালু করেছে তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, এটি ভেবে আমি শঙ্কিত। আমি আশা করব, সরকার তার অবস্থান থেকে সরে এসে মানবিক দিক বিবেচনায় বেগম জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এবং তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব বহন করবে। অন্যথায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার কিছু হলে, দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং তা হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিহিংসার একটি নিকৃষ্টতম উদাহরণ।

এমএইচএন/জেডএস/জেএস