হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হককে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশি নির্যাতনের গুজব ছড়িয়ে গ্রেফতার হয়েছেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শেরপুরী (৩৫) নামের এক যুবক। সোমবার মধ্যরাতে বগুড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (১১ মে) পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে সহিংস কার্যক্রমে জড়িত থাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তবে বেশ কিছুদিন ধরে হলিটিভি২৪ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে গ্রেফতার করা হেফাজতের নেতাকর্মীদের পুলিশ রিমান্ডে নির্যাতনের মনগড়া, আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতিপ্রদর্শক, মানহানিকর ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক গুজব রটিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় হলিটিভির রানা মন্ডলকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। রহিম গুজব ছড়ানোর কাজে সরাসরি জড়িত।

এডিসি নাজমুল বলেন, গত ২৬ এপ্রিল একই অভিযোগে গাইবান্ধা থেকে মো. রানা মন্ডলকে (২৮) গ্রেফতার করে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। রানা তার ইউটিউব চ্যানেলে সংশ্লিষ্ট ভিডিওসহ একই রকম প্রায় ছয় শতাধিক মনগড়া ভিডিও বানায়। তিনি ‘রানা স্টুডিও’ নামের প্রতিষ্ঠানে আব্দুর রহিমকে দিয়ে বিভ্রান্তিকর, মনগড়া ও উস্কানিমূলক ভিডিওগুলো ধারণ করতেন। পরে এই ভিডিওর সঙ্গে অন্যান্য ভিডিওর কাটপিস সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করতেন।

সাইবার পুলিশ জানায়, আব্দুর রহিম শেরপুরী দাওরায়ে হাদিস বিষয়ে বগুড়ার দাওয়াতুল হক আদর্শ মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। পেশায় তিনি একজন ইমাম ও ওয়াজকারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি হেফাজতের জ্বালাওপোড়াও-কে সমর্থন জানিয়ে, সহিংসতাকারী হেফাজত নেতাদের মুক্তির জন্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রানা মন্ডলের সহযোগিতায় ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রবাদী ও অসত্য প্রোপাগান্ডামূলক ভিডিও বানিয়েছেন।

আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকেও সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

এআর/এমএইচএস