রোগীর অভিযোগে ধরা পড়লেন ভুয়া চিকিৎসক
রাজধানীর দক্ষিণখানের হাজী সিদ্দিক মার্কেটে একজন দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন স্থানীয় এক গৃহবধূ। নিয়মিত চিকিৎসাতেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ডাক্তারের বিষয়ে তার খটকা লাগে।
পরে স্বামীসহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন ওই চিকিৎসক স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। তার বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। তবে ওই গৃহবধূ বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশ ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে বিষয়টি জানান। এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য অনুরোধ করেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে দেখে ওই দাঁতের চিকিৎসকের কোনো সার্টিফিকেট নেই। তিনি ভুয়া চিকিৎসক সেজে এতদিন ধরে লোক ঠকিয়ে আসছিলেন। পরে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়।
বুধবার (১২ মে) পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস) মো. সোহেল রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মো. সোহেল রানা বলেন, ভদ্রমহিলা তার স্বামীকে জানালে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দেন। কেননা, ওই চিকিৎসক ও তার পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী। এখানে তাদের বাড়ি, সম্পত্তি ও অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। তাদের সঙ্গে ঝামেলায় গিয়ে এলাকায় টিকে থাকা যাবে না।
মঙ্গলবার (১১ মে) ভুক্তভোগী ওই নারী বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেইজের বিষয়টি জানিয়ে বার্তা পাঠান। তবে, থানায় নিয়মিত অভিযোগ বা মামলা করতে অস্বীকার করেন।
মো. সোহেল রানা বলেন, ভদ্রমহিলার বার্তাটি দক্ষিণখান থানার ওসি সিকদার মো. শামীম হোসেনকে পাঠিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস উইং। পাশাপাশি, দক্ষিণখান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার গোস্বামীকে পরামর্শ দেন বিষয়টি সুপারভাইজ করতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ইনসপেক্টর অপারেশনস মো. আফতাব উদ্দিন শেখের নেতৃত্বে সাব-ইনসপেক্টর মো. মোশাররফ হোসেনসহ পুলিশের একটি দল সাদা পোশাকে বিষয়টি তদন্তে নামে।
তদন্তে তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হোন অভিযুক্ত ব্যক্তি পাস করা চিকিৎসক নন। দাঁতের চিকিৎসক হিসেবে তার কোনো প্রফেশনাল সার্টিফিকেটও নেই। এই ব্যক্তি এভাবে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ভুয়া দাঁতের চিকিৎসক দাবি করেন, তিনি তার ডাক্তার বন্ধুদের চিকিৎসায় সহায়তা করে থাকেন মাত্র। কিন্তু, সরেজমিনে দেখা গেছে, অনুমোদিত না হয়েও তিনি দাঁতের চিকিৎসা করছেন। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এমএসি/এমএইচএস