সংবাদপত্রের আলোচিত খবর
এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে
ছবি : সংগৃহীত
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
দেশে কয়েক বছর ধরে গ্যাস সরবরাহের সংকট বাড়ছে। তবু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে খুলনা ও রাজশাহীতে নেওয়া হয়েছে গ্যাসের পাইপলাইন। তবে নতুন সংযোগ হয়েছে হাতে গোনা। রংপুরে নেওয়া হচ্ছে নতুন লাইন। যদিও গ্যাস কবে যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। হাজার হাজার কোটি টাকায় গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ করে লোকসানে ডুবছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।
বিজ্ঞাপন
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
পড়ে আছে গ্যাসের ‘রাজনৈতিক’ পাইপলাইন, গচ্চা হাজার কোটি টাকা
জিটিসিএল সূত্র বলছে, দেশের মোট গ্যাস সরবরাহের ৭৫ শতাংশ সঞ্চালন করে জিটিসিএল। পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ হলে সঞ্চালন চার্জ পায় জিটিসিএল, এটিই তাদের আয়ের একমাত্র উৎস। গ্যাস সরবরাহ কমলে আয়ও কমে যায়। দিনে তাদের গ্যাস সঞ্চালন সক্ষমতা ৫০০ কোটি ঘনফুট। তারা সরবরাহ করে ২০০ কোটি ঘনফুট। অর্ধেকের বেশি সক্ষমতা থাকছে অব্যবহৃত।
কালবেলা
এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে
ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের টাকা বের করে নেওয়া, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের নিত্যনতুন কৌশলের তথ্য বেরিয়ে আসছে। এবার জানা গেল চেক বা পে-অর্ডার নয়; বরং ‘সাদা কাগজে হাতে লেখা স্লিপ’ দিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য। গত জানুয়ারি মাসে ইসলামী ব্যাংকের হেড অফিস করপোরেট শাখায় ৪৮ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য হাতে লেখা একটি স্লিপ দেওয়া হয়। ওই স্লিপে এস আলমের নির্দেশে অ্যানন টেক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন ব্যাংকের তৎকালীন ডিএমডি (উপ-মহাব্যবস্থাপক) আকিজ উদ্দিন।
ব্যাংকের একজন এসপিও (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) ব্যাংকিং নীতিবিরোধী এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই কর্মকর্তাকে ঢাকা থেকে নীলফামারী বদলি করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি করপোরেট অফিসে কর্মরত।
সমকাল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১৩৫ শিক্ষার্থীর প্রাণক্ষয়
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশে অন্তত ৯৬ শিক্ষার্থী প্রাণ দিয়েছেন। অন্য জেলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৯ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে হাসিনা সরকারের পতনের অভ্যুত্থানে ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যাযজ্ঞে এসব শিক্ষার্থী জীবন দেন। নিহত শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান ও তাদের স্বজন-সহপাঠীর সঙ্গে যোগাযোগ এবং তথ্য বিশ্লেষণ করে ১৩৫ শিক্ষার্থীকে হত্যার তথ্য নিশ্চিত করতে পেরেছে সমকাল। তবে এ সংখ্যা পূর্ণাঙ্গ নয়। এর বাইরেও প্রাণ হারানো শিক্ষার্থী থাকতে পারেন।
গণঅভ্যুত্থানে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও অজানা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ৬৩১ জনের প্রাণ গেছে এ আন্দোলনে। বেসরকারি সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্য বলছে, ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এর বেশির ভাগই ছিল গুলিতে মৃত্যু। ১৮ থেকে ২০ জুলাই এবং ৪ থেকে ৭ আগস্ট– এই সাত দিনেই নিহত হয়েছেন ৭৪৮ জন। এদিকে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য উপকমিটির তথ্যানুযায়ী, নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৪২৩। তবে বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষায় কত শিক্ষার্থী প্রাণ বিলিয়েছেন, তা কোনো প্রতিবেদনেই নেই।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
শিল্পপ্রেমে অনন্য দম্পতির ধূসর কর্মকাণ্ড
দেশ-বিদেশের শিল্পকর্ম নিয়ে নিয়মিত বিরতিতে আয়োজন হচ্ছে ‘ঢাকা আর্ট সামিট’। এতে অংশ নিচ্ছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী, বোদ্ধা, শিল্পরসিক ও সংগ্রাহক। এটি আয়োজন করছে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন, যার কর্ণধার রাজীব ও নাদিয়া সামদানী দম্পতি।
তাদের নিজেদের শিল্পকর্ম সংগ্রহের তালিকাটি বেশ ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের চিত্রকর্ম থেকে শুরু করে অধুনাকালের কোরীয় ভাস্কর হেগুয়ে ইয়াংয়ের শিল্পকর্মও আছে এ তালিকায়।
আজকের পত্রিকা
স্থবির পিএসসি, অপেক্ষা বাড়ছে চাকরিপ্রার্থীদের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে স্থবির হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে দুটি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার কার্যক্রম। আর একটি বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশও দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।
বিসিএস পরীক্ষা ছাড়াও নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষা ও সিভিল সার্ভিসভুক্ত অর্ধবার্ষিক বিভাগীয় পরীক্ষাও স্থগিত রেখেছে পিএসসি। এতে চাকরিপ্রার্থীদের অপেক্ষা যেমন বাড়ছে তেমনি ভুগছেন সরকারি চাকরিজীবীরাও।
কালের কণ্ঠ
বিদেশি চক্রান্তে গার্মেন্টসে অস্থিরতা!
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প এখন সংকটে। কথায় কথায় কারখানায় বিক্ষোভ, ধর্মঘট, আন্দোলন আর দাবিদাওয়ার কবলে পড়ে ক্রয়াদেশ ও উৎপাদন ঝুঁকিতে। নানা ছুতায় কর্মীরা অপ্রচলিত ইস্যু সামনে এনে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে খারাপ বার্তা যাচ্ছে বহির্বিশ্বে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান এই খাত নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে ষড়যন্ত্রের।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের শত প্রচেষ্টার মধ্যেও শিল্পে স্থিতিশীলতা না ফেরায় তাঁরাও এর পেছনে আন্তর্জাতিক চক্রের শিল্প ধ্বংসের ইন্ধন রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন। তাঁরা বলেন, আর্থিকভাবে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিদেশি অদৃশ্য শক্তি টাকা ছিটিয়ে দেশি এজেন্টদের দিয়ে শিল্পাঞ্চলগুলোকে অস্থিতিশীল করার জন্য পর্দার আড়ালে কলকাঠি নাড়ছে বলেও তাঁদের ধারণা।
দেশ রূপান্তর
৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় খুলনা-মোংলা রেলপথ। বিপুল অর্থ বিনিয়োগে গড়ে তোলা এই রেলপথে প্রতিদিন চলে মাত্র একটি ট্রেন। এতে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হলেও মিলছে না প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা। অর্জিত হচ্ছে না প্রকল্পের উদ্দেশ্যও।
তবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে খুলনা রেলস্টেশনের টিআই অংশুমান রায় চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাস্তবতা ও চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। সে বিবেচনায় নতুন আরেকটি ট্রেন চালুর প্রস্তাবনা ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ৯ ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি; মানবতাবিরোধী অপরাধ করলে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রস্তাব; পাঠ্যবই সংশোধন কমিটিতে বিশেষজ্ঞ না রাখায় ক্ষোভ; অনিশ্চয়তার মুখে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা; অস্থিরতার ধাক্কা লেগেছে পাহাড়ি অর্থনীতিতেও—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।