উদ্ধার হওয়া সিএনজি

রাজধানী থেকে চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা উদ্ধারসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মোখলেছুর রহমান বাবুল (৫১)।

বুধবার (১২ মে) রাতে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীপূর্ব থানার পূর্ব আরীচপুর মদিনাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম রেজাউল হক বলেন, গত ৭ মে দারুসসালাম থানা এলাকা থেকে একটি সিএনজি চুরি হয়। ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দারুসসালাম থানায় মামলা রুজু হয়। এরপর মামলার তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

তিনি বলেন, মামলা তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সিএনজি চুরি চক্রের সদস্যর অবস্থান শনাক্ত করে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় মোখলেছুর রহমান বাবুলকে। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি জব্দ করা হয়। তাকে দারুসসালাম থানায় একটি মামলায় রিমান্ড আবেদনের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে উত্তরায় ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) দিয়ে অভিনব কায়দায় গাড়ির দরজা খুলে চুরির ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন, মো. হালিম ব্যাপারী ওরফে কামাল হোসেন (৬৮) ও নূরে আলম সিদ্দিকী সোহান ওরফে শুকুর (৩৫)।

এ সময় তাদের হেফাজত থেকে কাগজপত্র, আইডি কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, সিমসহ একটি মোবাইল ফোন, দুইটি পেনড্রাইভ ও নগদ ৫ হাজার টাকাসহ ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান সরদার জানান, গত ৬ মে বিকেলে উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় একটি প্রাইভেটকারের দরজার লক ভেঙে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়।

মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

চলমান অভিযানে সংগৃহীত সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাথে চেহারার মিল পাওয়ায় বুধবার ভোরে উত্তরা পশ্চিম থানার জমজম টাওয়ার এলাকা থেকে হালিম ব্যাপারি ওরফে কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতার হালিম ব্যাপারির দেওয়া তথ্য মতে পরবর্তীতে বংশাল এলাকা থেকে নূরে আলম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় চুরি হওয়া মালামালগুলো তার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার মোহাম্মদপুর, রমনা, কোতোয়ালিসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

অপরাধ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান সরদার আরও বলেন, এ চক্রের সদস্যদের একজন একাধিক ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) সঙ্গে রাখেন। অপর এক সদস্য হাতে ব্যাগ নিয়ে পথচারী সেজে চুরির কার্য সম্পন্ন করার জন্যে সহায়তা করে। এ চক্রের আরেক সদস্য ছাতা বা অন্য কোনো প্রয়োজনীয় জিনিস হাতে নিয়ে ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) বহনকারী সদস্যকে আড়াল করে রাখে। ‘মাস্টার কি’ (বিশেষ চাবি) বহনকারী সদস্য অভিনব কায়দায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে গাড়ির দরজা খুলে চুরির কাজ শেষ করে।

জেইউ/এমএইচএস