করোনা মহামারির মধ্যে দেশজুড়ে উদযাপন করা হচ্ছে ঈদুল ফিতর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে ঈদে ঘরমুখো মানুষর ঢল থামাতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছিল সরকার। কিন্তু তারপরও থামানো যায়নি মানুষের ঢল। এ অবস্থায় বিধিনিষেধ শিথিলে বাধ্য হয় সরকার। গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। যা আজ ঈদের দিনও অব্যাহত ছিল।

শুক্রবার (১৪ মে) রাজধানীর গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় দেখা যায়, পিকআপ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে চড়ে ঢাকা ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ।

মো. রাজন মিয়া রাজধানীতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। ঈদের নামাজ পড়ে রওনা হয়েছেন গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর উদ্দেশে। তিনি বলেন, পরিবারের মা-বাবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাচ্ছি। আগামী পরশুদিন আবার কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। বাড়ির মালিককে বলে আজ এবং কাল ছুটি নিয়েছি। মালিকের অনুমতি পেয়েই বাড়ির পথে রওনা হয়েছি। এখান থেকে ঘাটে যাব। তারপর নদী পার হলেই রাজবাড়ী। তবে এখান থেকে বাসে পাটুরিয়া যেতে জনপ্রতি ভাড়া ৪০০ টাকা চাচ্ছে। স্বাভাবিক সময় গাবতলী থেকে পাটুরিয়া যেতে ১০০ টাকার মতো লাগে।

সরজমিনে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করে সাধারণ মানুষ যে যেভাবে পারছে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছে। তবে গণপরিবহন না চলায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঈদের দিন ঢাকা ছেড়ে যাওয়া এসব মানুষের অধিকাংশই শ্রমজীবী।

ফরিদপুরের মোস্তফা নামের এক যুবক চাকরি করেন পোশাক কারখানায়। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম বাড়ি যাবো না। কিন্তু ঢাকায় একা থাকতে ভালো লাগছে না। অফিসও বেশ কয়েকদিন বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো মা-বাবা ও আমার সন্তানের জন্য খারাপ লাগছে। এ জন্য পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি।  এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু গাড়ি তো চলছে। এভাবেই ভেঙে ভেঙে চলে যাব।

এসআর/এসকেডি