১২ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন কোটি মানুষ, একদিনেই ফিরেছেন ৪ লাখ
গত ৪ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ১২ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন এক কোটির বেশি মানুষ। আর শনিবার (১৫ মে) একদিনে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ৪ লাখের বেশি মানুষ।
ঢাকা ছেড়ে যাওয়া এবং ফেরত আসা মানুষজনের মোবাইল সিমের হিসেবের ভিত্তিতে রোববার (১৬ মে) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মোস্তাফা জব্বার ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রাহকের সিমটা কোথায় অবস্থান করছে তা জানার জন্য আমাদের প্রযুক্তি রয়েছে। সেই প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা দেখতে পেয়েছি গত কয়েকদিনে ঢাকায় থাকা সিম কার্ড ঢাকার বাইরে কী পরিমাণ গিয়েছে। এবং গত একদিনে ঢাকায় কী পরিমাণ প্রবেশ করেছে।
তিনি জানান, গত ১২ দিনে গ্রামীণফোনের সিম কার্ড নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়া গ্রাহকের সংখ্যা ৬৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৫ জন। রবির সিম কার্ড নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়া গ্রাহকের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫০ হাজার ২৮০ জন। বাংলালিংকের ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৮ জন ও টেলিটকের ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩৪ জন সিম ব্যবহারকারী ঢাকার বাইরে গিয়েছেন। মোট এক কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৭ সিম কার্ডের ব্যবহারকারী ঢাকার বাইরে গেছেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে শনিবার ৪ লাখ ১২ হাজার ৭৬৩টি সিম কার্ড ব্যবহারকারী ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ২ লাখ ৭ হাজার ৭৯৬ জন, রবির ৬ হাজার ১৪৩ জন, বাংলালিংকের ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৬ জন ও টেলিটকের ৪০ হাজার ৩২৮ জন রয়েছেন।
আলাপকালে মোস্তাফা জব্বার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে তিনটি বিষয় জানা জরুরি। প্রথমত আমাদের দেশে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে কেউ সিম কার্ড কিনতে পারেন না। এই হিসাবটা হলো সিম ব্যবহারকারীদের জন্য।
দ্বিতীয়ত একজন ১৫টা পর্যন্ত সিম কিনতে পারেন। তৃতীয়ত অনেকেই একাধিক সিম মোবাইলে ব্যবহার করেন। সুতরাং এ হিসাবে ব্যক্তি হিসাব করলে চলবে না। ১৮ বছরের নিচে অনেকেই ঢাকার বাইরে গেছে। যাদের নামে কোনো সিম নেই। তাদের হিসাবটা কিন্তু আসেনি। এসব হিসাব মিলিয়েই মোট পরিসংখ্যান বের করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি এই হিসাবটা সংগ্রহ করেছি, এই কারণে আমাদের একটু বোঝা দরকার। একটা অনুমান যেন করতে পারি আমরা। আসলে কী পরিমাণ মানুষ ঢাকার বাইরে গেছেন। এবং কী পরিমাণ মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। লকডাউন শেষে হয়তো একটা পরিসংখ্যান তুলে ধরব।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কোন এলাকায় কত করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন তার হিসাবটাও আমাদের পক্ষে বের করা সম্ভব। এই পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে কিন্তু প্রধান কেন্দ্র ঢাকা শহর। পাশাপাশি ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ। তারপরের জায়গা হচ্ছে চট্টগ্রাম। আগেও বলেছিলাম এখনও বলছি ঈদের নামে কতজন কী নিয়ে বাড়ি গেছেন আর কতজন কী নিয়ে ফেরত আসছেন তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে।
একে/জেডএস