ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। সংস্থাটি জানায়, ইয়াস মোকাবিলায় উপকূলীয় ১৪ জেলাসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট এবং কক্সবাজারে চলমান পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন ও নোয়াখালীর ভাসানচরে কার্যক্রম সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। এতে বলা হয়, উপকূলীয় ১৪ জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে শুকনো খাবার, ওরস্যালাইন ও খাবার পানি সরবরাহের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ (সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার) প্রদান ও সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা গ্রহণসহ আশ্রয়কেন্দ্রে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উপকূলীয় ১৪টি জেলার মধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সাতটি জেলায় (সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালী) পূর্বাভাসভিত্তিক (এফবিএ) কার্যক্রম পরিচালনা করবে রেড ক্রিসেন্ট। ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হওয়ার পর উপকূলীয় অন্যান্য জেলাগুলোতেও কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, রোববার (২৩ মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে সোসাইটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন। এতে সোসাইটির উপমহাসচিব মো. রফিকুল ইসলামসহ সোসাইটির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বরত পরিচালক, আইএফআরসি ও রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট মুভমেন্ট পার্টনারের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সবকটি আশ্রয়কেন্দ্রে রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনো সমস্যা না হয়। ক্যাম্পে বসবাসরত বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে রেড ক্রিসেন্ট ফিল্ড হাসপাতাল ও ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক কর্তৃক যৌথভাবে ক্যাম্পগুলোতে সতর্কতা সিগন্যাল পতাকা উত্তোলন ও সতর্ক বার্তা প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এনআই/আরএইচ