প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

বাজেটে করের চাপ কমানো হবে

আগামী বাজেটে করের চাপ কমানো হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, আগামী বাজেটে শুল্ক-কর যৌক্তিক করে ব্যবসাবান্ধব করা হবে। কর দেওয়ার ব্যবস্থাও সহজ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরও করব্যবস্থাকে সহজ করার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, পণ্য আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি পর্যন্ত ১০ শতাংশের বেশি ভ্যাট থাকা উচিত নয়, যা বর্তমানে ১৫ শতাংশ।

যুগান্তর

ব্যাংকখেকো নাসা নজরুল

রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক খাত থেকে নামে-বেনামে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি ঋণও খেলাপি হওয়ার পথে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতদিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঋণখেলাপির বাইরে ছিলেন তিনি। এবার আর শেষ রক্ষা হলো না। এই প্রথমবার তাকে ঋণখেলাপির তালিকায় দেখা যাচ্ছে। তাদের মতে, ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেটিকে পুঁজি করে ব্যাংক খাতে এসব অপকর্ম করেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বেসরকারি সব ব্যাংকের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

সমকাল

যৌক্তিক-অযৌক্তিক সব দাবিতেই রাজপথ গরম

যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক– যেটাই হোক, দাবি হাসিলের ‘মোক্ষম জায়গা’ হয়ে উঠেছে রাজপথ। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যেন বয়ে যাচ্ছে দাবি-দাওয়ার নহর। হুটহাট সড়ক-মহাসড়কে নেমে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে যান চলাচল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকার শঙ্কা নিয়েই ঘর থেকে বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আন্দোলনের সামনে পড়লেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সীমাহীন বিপত্তির পাশাপাশি দিনের পরিকল্পনায় লেগে যাচ্ছে ভজকট। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক, নির্দিষ্ট গন্তব্যের গাড়ি রাস্তায় চলছে কিনা, তা নগরবাসীকে ৯৯৯-এ ফোন করে জেনে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে খোদ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বণিক বার্তা

বিপুল বকেয়া সিস্টেম লস চুরি আড়াল করে বারবার দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ

দেশে গ্যাস খাতের কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ পাওনা অর্থ গ্রাহকের কাছে আটকে রয়েছে। পেট্রোবাংলার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, এর পরিমাণ ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ বকেয়ার সঙ্গে কোম্পানিগুলোর আর্থিক চাপকে আরো বাড়িয়ে তুলছে গ্যাসের সিস্টেম লস ও চুরি। এর মধ্যেই রাজস্ব আয়ের বড় একটি অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। আবার একই সঙ্গে বাড়ছে উচ্চমূল্যে আমদানি করা এলএনজির ওপর নির্ভরতা। পতিত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রকট হয়ে ওঠা গ্যাস খাতের এ অদক্ষতা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও একই ধারায় রয়েছে। আর চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে এর খেসারত দিতে হচ্ছে ভোক্তাকে। কিন্তু উৎপাদন থেকে বিক্রি পর্যন্ত নানা পর্যায়ের এমন লোকসান-অসংগতি আর অপচয়কে এড়িয়ে আবারো গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিতরণ কোম্পানিগুলো।

কালের কণ্ঠ

ভ্যাট গায়েবে ঘুষ-দুর্নীতির পোয়াবারো

রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় খাত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। ব্যবসায়ী-কর্মকর্তার যোগসাজশ, ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বেশির ভাগ ভ্যাটই আদায় হয় না বলে এটি প্রায় ‘ওপেন সিক্রেট’ বিষয়। কেন্দ্র থেকে প্রান্ত, ছোট থেকে বড়—প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই কমবেশি ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে থাকে। বিভিন্ন সময়ে ভ্যাট শাখা, বেসরকারি সংস্থা টিআইবিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই বিচ্ছিন্নভাবে ভ্যাট নিয়ে জরিপ ও গবেষণা করেছে।

যুগান্তর

শিক্ষকদের সঞ্চয় ৬ হাজার কোটি টাকা গায়েব

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জমানো ৬ হাজার কোটি টাকা যে ব্যাংকে রাখা হয়েছিল সেটি দেউলিয়া হওয়ায় তাদের সঞ্চয়ের কোনো টাকাই এখন আর নেই। শিক্ষকদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকটিতে রাখা হয়েছিল। পরস্পর যোগসাজশে এটি করা হয়। এই (৬ হাজার কোটি) টাকা কম নয়। এই অর্থ হলে আমরা শিক্ষকদের পেনশনসহ সব দায়দেনা মেটাতে পারতাম। বুধবার অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরোর (বিবিএস) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সমকাল

উন্নত চিকিৎসার সুযোগ হাতছাড়া দীপঙ্করের!

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র দীপঙ্কর বালা (২৬)। পরদিন থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে কয়েকবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন।

সে অনুযায়ী তুরস্কে যাওয়ার সব ব্যবস্থাও হয়েছে। তবে তিনি দেশটিতে যেতে পারছেন না। গত সোমবার ফ্লাইট থাকলেও তাঁকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। বুধবার ঢামেকের বার্ন ইউনিটের ৬১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দীপঙ্করের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, তিন মাস ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নানাভাবে আশ্বাসের পর ২৭ জানুয়ারি তুরস্কে যাওয়ার জন্য তাঁকে বিমানের টিকিট দেওয়া হয়। তা ছিল ইকোনমি ক্লাসের টিকিট। তাঁকে বসানো অবস্থায় দীর্ঘ ফ্লাইটে নেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। আবার কবে টিকিটের ব্যবস্থা হবে, কবে বিদেশে যেতে পারবেন, সে আশায় হাসপাতালে দিন কাটছে এই কলেজছাত্রের। এদিকে যত দিন যাচ্ছে, তাঁর পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। গোড়ালির দিকে ছোট ছিদ্র দিয়ে অনবরত পুঁজ পড়ছে। পা নাড়াতে পারছেন না সহজে। 

বণিক বার্তা

ট্রাফিকের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৬০০

রাজধানীর সড়কে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রতিদিন দুই শিফটে তারা এ দায়িত্ব পালন করছেন। গত তিন মাসে এ কাজে নিয়োজিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে মোট ৬০০ শিক্ষার্থী সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এ সংখ্যা আরো বাড়াতে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ট্রাফিকের পাশাপাশি রাস্তায় নিয়োজিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হলেও এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি ঢাকার সড়ক ব্যবস্থাপনায়।

প্রথম আলো

চট্টগ্রাম কারাগারে দুধ বিক্রি করছেন ডিআইজি প্রিজন

চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) টিপু সুলতান। এই বিভাগের ১১টি কারাগারের বন্দীদের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব তাঁর। কিন্তু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীদের জন্য প্রতিদিন তিনি যে দুধ সরবরাহ করছেন, তা অবৈধ ব্যবসা। নিজের খামারের গরুর দুধ তিনি কারাগারে বিক্রি করছেন বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে।

কারাবিধি অনুযায়ী, কোনো কারা কর্মকর্তা-কর্মচারী বন্দীদের কাছে কোনো সামগ্রী বিক্রি কিংবা ভাড়া দিতে পারেন না। এ ছাড়া এভাবে তরল দুধ সরবরাহ করা বন্দীদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সাবেক কারা কর্মকর্তারা।

বণিক বার্তা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সব মুখ্য সচিবই ছিলেন বিতর্কিত ও অপকারী

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা। তার এ শাসনামলে মোট আটজন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য বিতর্কিত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছাকেই তারা প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। এর প্রতিদান হিসেবে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃতও হয়েছেন সরকারের সাবেক এ কর্মকর্তারা। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়ান-ইলেভেনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য সক্রিয় নানা ভূমিকা রেখেছিলেন তারা।

কালের কণ্ঠ

লুটের অস্ত্র চলে গেছে ডাকাতদের হাতেও

কক্সবাজারের মহেশখালীর ডাকাত জিয়াউর রহমান পাঁচ বছর আগে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যাসহ অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে। সেই সব মামলা থেকে রেহাই পেতেই তিনি নিজেকে ভালো মানুষ সাজাতে অস্ত্র জমা দেন। সঙ্গে তাঁর বাহিনীর সদস্যরাও অস্ত্র জমা দিয়েছিলেন।

লোক-দেখানো ভালো সেজে যাওয়া সেই ডাকাত সর্দার জিয়াউর আবারও অস্ত্র সংগ্রহ করেন। এবার তাঁর হাতে আসে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র। এই খবর জানতে পেরে গত ১৪ নভেম্বর কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করেন। আটকের পর জিয়াউর স্বীকার করেন, গত বছরের ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র সংগ্রহ করে ফের ডাকাতিতে নেমেছেন তিনি।

আজকের পত্রিকা

তিন ভোটের কর্মকর্তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানে দুদক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের আর্থিক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুরুতে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে’ করার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

দুদকের এই অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি), প্রশাসন, পুলিশ, র‍্যাবের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। দুদকের সূত্র বলেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পাশাপাশি ২০১৪ ও ২০২৪ সালের কারচুপির নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দুই শতাধিক কর্মকর্তার এই তালিকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আলোচিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) নাম রয়েছে। বিতর্কিত ওই তিন নির্বাচনে কারচুপিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদেরও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।

কালবেলা

রুটিন কাজেও যেতে চাইছে না পুলিশ

রাজধানীর উপকণ্ঠের একটি থানার ওসি আলাপকালে কালবেলাকে বলেন, ‘মানুষের মধ্য থেকে পুলিশের ভয় কেটে গেছে। তুচ্ছ কারণেও মানুষ পুলিশের ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করে। ফলে দারোগারা (এসআই) টহলে যেতে চান না। বিশেষ করে গভীর রাতে দারোগাদের বকাঝকা করে এমনকি শাস্তির ভয় দেখিয়েও টহলে পাঠানো যায় না। আর পুলিশ টহলে না গেলে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে কী করে?’

চট্টগ্রাম রেঞ্জে কর্মরত এক পুলিশ পরিদর্শক বলেন, ‘৫ আগস্ট বা তার আগে জুলাই আন্দোলনে যেসব পুলিশ সদস্য মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন, ওইসব ঘটনায় মামলা হয়নি; আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু চট্টগ্রামের একজন ওসিকে দিনদুপুরে শত শত মানুষের সামনে প্রকাশ্যে হামলা করে মারধর করা হলো, সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হলো, অথচ কারও বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়নি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভিকটিম ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে দেখতেও যাননি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’

কালের কণ্ঠ

এক বছরে ৫৭০ বেওয়ারিশ লাশ

বেওয়ারিশ লাশ দাফনকারী সেবামূলক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম গত বছর (২০২৪) বেওয়ারিশ ৫৭০টি লাশ দাফন করেছে। পুলিশের সঠিক তদন্তে গাফিলতি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারে তাদের তথ্য না থাকায় স্বজনদের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করা যায়নি।

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সূত্রে জানা গেছে, তারা গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৪, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩, মার্চে ৪৯, এপ্রিলে ৩৭, মে মাসে ৫৯, জুনে ৪৮, জুলাইতে ৮১, আগস্টে ৩৪, সেপ্টেম্বরে ৩৪, অক্টোবরে ৪৪, নভেম্বরে ৫৩ ও ডিসেম্বরে ৫৪টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। সংস্থাটি বলছে, এর আগের তিন বছরের মধ্যে ২০২১ সালে ৪৬৫ জন, ২০২২ সালে ৪৪৩ জন, ২০২৩ সালে ৪৯০ জনের বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়।

এছাড়া ফেসবুক লাইভে এসে ওসিকে পেটানোর হুমকি; আবেদ আলীর ফাঁস করা প্রশ্নে চাকরির প্রমাণ; অর্থনীতির স্বার্থে দ্রুত নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির পরামর্শ সিপিডির; তারেক রহমান / ভাবনায় শুধু জনগণ জনগণ ও জনগণ; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা / সীমান্ত সম্মেলনে এবার কথার টোন আলাদা হবে; কোন প্রক্রিয়ায় সাত কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি জানেন না কেউ; প্রেস সচিব / ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।