খুলনার কয়রায় বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জোয়ারের পানি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে সেসব এলাকার স্কুল-কলেজের তালা খুলে দিতে নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) মাউশির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সম্ভাব্য আঘাতে উপদ্রুত (বাংলাদেশের উপকূলীয় ও পার্শ্ববর্তী) এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) জনসাধারণের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে জরুরিভিত্তিতে খুলে দিতে হবে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা হবে এর তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সংগ্রহ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট জেলার সমন্বিত তালিকা মাউশির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।

এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় এ আঘাত পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে উপদ্রুত এলাকায় অবস্থিত মাউশির আওতাধীন সব পর্যায়ের দফতর ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন/দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার সব দফতর/প্রতিষ্ঠান প্রধান/নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করবেন। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপপরিচালক ও পরিচালকরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন।

ইয়াসের বিষয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট যেকোনো তথ্যের জন্য মাউশির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যদি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ছক আকারে তথ্য সংগ্রহ করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সকালে পূর্ব ভারতের ওডিশা উপকূলে আঘাত হানে। সেখানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ওডিশা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর প্রভাবে বাংলাদেশের ২৭ উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকজনের প্রাণহানিও হয়েছে।

এনএম/এফআর