দেশে ২৪ বছরের নীচে ৪৯ শতাংশ তরুণ তামাক সেবন করছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) আসন্ন জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ এ তামাক কর বৃদ্ধির মাধ্যমে যুব সমাজকে তামাক সেবনে নিরুৎসাহিত করা শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) ও ডরপের এর যৌথ উদ্যোগে ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিইডির সদস্য ড. শামসুল আলম।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আমি সবসময় সংসদে তামাকের ওপর কর বৃদ্ধির বিষয়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। আসন্ন বাজেটে তামাকের কর বৃদ্ধিতে চেষ্টা করবো। সিগারেটের শলাকা বিক্রি বন্ধের পদক্ষেপ নেবো। তাহলে অনেক যুবক একসঙ্গে এক প্যাকেট সিগারেট কিনতে পারবে না। তরুণ সমাজ সিগারেট সেবনের ফলে পরিবারের অর্থ ও পরিবেশকে নষ্ট করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে এক তৃতীয়াংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করছে যা খুবই ক্ষতিকর। যুবকদের যদি আমরা তামাক সেবন থেকে দূরে না রাখতে পারি তবে আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবো না। ২৪ বছরের নীচে ৪৯ শতাংশ তরুণ সমাজ রয়েছে যারা তামাক সেবন করছে। যুব সমাজকে মাদক ও তামাক থেকে দূরে রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তারপরও যে চিত্র দেখলাম এটা ভয়াবহ। এতো ট্যাক্স বৃদ্ধির পরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। শুধু ট্যাক্স বৃদ্ধি নয় জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক সেবন বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, তামাকে কর বৃদ্ধি করতে হবে। তামাক সেবনের মধ্য দিয়ে যুব সমাজ বড় ধরনের নেশায় ঝুঁকে পড়ছে। তামাক মাদকের ব্যাপারের পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন নিরুৎসাহিতমূলক শিক্ষা দেয় এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ বিষয়ে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। আমি কখনও মাদক ও তামাক সেবন করিনি। সবসময় খেলাধুলায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় আমরা উপজেলা পর্যায়ে খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিচ্ছি। প্রতি উপজেলায় নতুন নতুন বিনোদন কেন্দ্র করে দিচ্ছি। তামাকমুক্ত দেশ গড়ায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এসআর/এসকেডি