ঢাকা ওয়াসার আওতাধীন সায়েদাবাদ পানি শোধন প্রকল্প (ফেজ ৩) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমীক্ষা পরিচালনা করে প্রকল্পের জন্য যে পরিমাণ জমি প্রয়োজন তা বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে যৌথ সমীক্ষা কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

ডিএসসিসি সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সম্প্রতি সাত সদস্য বিশিষ্ট এ যৌথ সমীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশের প্রধান প্রকৌশলীকে আহ্বায়ক এবং প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ, অঞ্চল ৫ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অঞ্চল ৫ এর প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি এবং ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক মনোনীত উপযুক্ত প্রতিনিধি। 

এদিকে সম্প্রতি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন এক বছরের সার্বিক কার্যক্রম ও অগ্রগতি নিয়ে ‘উন্নত ঢাকার ভিত রচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ওয়াসার কাছ থেকে খাল ও বক্স কালভার্টগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দায়িত্ব পেয়েই দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ২ জানুয়ারি থেকে ২টি বক্স কালভার্ট ও ৪টি খাল থেকে বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে। একইসাথে সেসব খালের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ দখলে থাকা জায়গা পুনরুদ্ধার করেছি।

তিনি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আমরা নিজস্ব অর্থায়নেই সেসব খাল ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও খনন কার্য সম্পাদন করছি। খাল ও বক্স কালভার্টগুলো থেকে আমরা ১০ লক্ষাধিক টন পলি ও বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি এবং খাল ও বক্স কালভার্টগুলোতে দৃশ্যমানভাবে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া কমলাপুর ও ধোলাইখাল পাম্প স্টেশনের ৬টি পাম্প মেশিনের মধ্যে কমলাপুরের ১টি এবং ধোলাইখালের ২টি পাম্প মেশিন সচল করতে সক্ষম হয়েছি এবং বাকি ৩টি পাম্প মেশিন সচল করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সাথে আমরা ৩০টি ভ্রাম্যমাণ পাম্প মেশিন ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পাদনের শেষ পর্যায়ে রয়েছি।

এএসএস/এনএফ