রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বেগুনবাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ফাতেমা আক্তার (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। 

শনিবার (২৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। দুপুর সোয়া ১টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাতেমার বাবা আবদুস সালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ে তেজগাঁও আইডিয়াল স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় ঠিকমতো পড়াশোনা করে না। সব সময় মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। এই নিয়ে বকাঝকা করলে অভিমানে নিজ রুমে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁসি দেয়। দরজা না খোলায় জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতে পাই, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। এরপর দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ৪৭/২ বেগুনবাড়ির একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকি। আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে ফাতেমা সবার ছোট। আমাদের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার মাইনকারহাট গ্রামে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফাতেমার  পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে। এই নিয়ে বকা দিলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে জানানো হয়েছে।

এসএএ/এইচকে