দেশবিরোধীদের নির্মূল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (২৯ মে) দুপুরে দিনাজপুরের বিরলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে করা বাগানের লভ্যাংশ বিতরণ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশবিরোধী কারও সঙ্গে আমাদের ঐক্য হতে পারে না। তাহলে ৩০ লাখ শহীদকে অপমান করা হবে। যারা করোনার ভ্যাকসিন না নিতে জনগণকে ভয় দেখিয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। এখন আবার তারাই ভ্যাকসিনের জন্য কথা বলে। তারা বলেছিল ভারতের ভ্যাকসিন নিলে নাকি শরীরে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। নারীদের বলা হয়েছিল, এ ভ্যাকসিন নিলে কখনও ছেলে মেয়ের মা হতে পারবে না। পুরুষদের একইরকমের কথা বলা হয়েছিল। এসব কথাবার্তা বলে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এখন তারাই ভ্যাকসিনের জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে যেন ভ্যাকসিন চুক্তি না হয়, সেজন্য তারা গুপ্তচর সেট করেছিল। গোপন নথিগুলো যেন উন্মুক্ত হয়ে যায়, বাংলাদেশ যেন ভ্যাকসিন না পায়। সেজন্য এসব করা হয়েছে। কিন্তু সরকার দক্ষতার সঙ্গে শুধু মোকাবিলা নয়; বাংলাদেশকে চরম বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে। সেই নথি যদি প্রকাশ হয়ে যেতো তাহলে বাংলাদেশ আজকে চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে ভ্যাকসিন পেত না।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী বিধায় আজকে আমরা ফিলিস্তিনকে সাহায্য করছি। শ্রীলঙ্কাকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছি। এ সময় বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে সবাইকে বৃক্ষরোপণ করার আহ্বান জানান তিনি।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ধর্মকে ব্যবহার করেছেন শুধু ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের স্পিরিটকে নষ্ট করার জন্য জিয়াউর রহমান ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। সর্বশেষ আপনারা দেখেছেন ধর্মের নামে কীভাবে উসকানি দিয়ে সারাদেশে তাণ্ডব চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ধর্মকে সঠিক ধারায় রাখার জন্য। যেহেতু ৯০ ভাগ মানুষ আমাদের মুসলমান; সঠিক ইসলাম যেনো মানুষ জানতে পারে সে জন্য। ১৯৭১ সালে ধর্মকে ব্যবহার করে পাকিস্তানিরা আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ সেটা গ্রহণ করেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাকির হোসেন প্রমুখ।

এইউএ/এসকেডি