বায়রা-বিএমইটির কর্মকর্তাদের বাগবিতণ্ডা

সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সরাসরি বহির্গমন ছাড়পত্রের আবেদন না নেওয়ায় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) রিক্রুটিং এজেন্সিদের সংগঠন বায়রার সদস্যরা আন্দোলন করেছে। আন্দোলকারীদের সঙ্গে বিএমইটির কর্মকর্তাদের হট্টোগল, ধাক্কাধাক্কি ও বাগবিতণ্ডার মতো ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ১১টার পর বিএমইটির কার্যালয়ে জড়ো হন ভুক্তভোগী বায়রা সদস্যরা। বায়রার সদস্যদের সঙ্গে এক পর্যায়ে বিএমইটির কর্মকর্তাদের হট্টোগল, ধাক্কাধাক্কি ও বাগবিতণ্ডার মতো ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বেশ কিছু এজেন্সির সদস্যদের নিয়ে বিএমইটি মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফরের দপ্তরে যান। সেখানে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে, বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সে নিয়ে বারবার সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আজও কোনো ফাইল জমা নেয়নি। হঠাৎ করে সব ফাইল অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে, ম্যানুয়ালি কোনো ফাইল আজ গ্রহণ করেনি। যে কোনো নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে নূন্যতম কিছু দিন সময় দিতে হয়, কিন্তু বিএমইটির কিছু কর্মকর্তা তা না করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে।

বায়বার সদস্যরা বলন, বিএমইটি হঠাৎ করে সৌদি ভিসার ক্ষেত্রে সত্যায়ন চায়। কিন্তু এটা এক মাস আগে জানালে হতো। গতকাল থেকে হঠাৎ তারা অনলাইনে একটা করে আবেদন জমা নিচ্ছে৷ আগে আমরা প্রতিদিন ৪০-৫০টা আবেদন করা যেত। আজ থেকে মাত্র একটি করে আবেদন নিচ্ছে।

বিএমইটি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কর্মসংস্থান) মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, আমরা এই বিষয়ে বায়রার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বসব। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এনআই/এমএসএ