দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হন গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী পাওয়ার পরে কেটেছে প্রায় ১০ মাস। এখন মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ জন। মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৭০ জন। এটা কেবল আনুষ্ঠানিক একটা চিত্র।  প্রথম থেকেই কম পরীক্ষা, কম রোগীর একটা অভিযোগ থেকে গেছে। তবে এরসঙ্গে এটিও উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় যে, অন্যান্য অনেক দেশের চেয়েই বাংলাদেশের তুলনামূলক চিত্র ভালো।    
 
করোনাকালের বছর পেরিয়ে বিশ্ব এখন টিকার হাত ধরে করোনামুক্তির জটিল পথে হাঁটছে। ধনী দেশগুলো তোড়জোড়ে দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিয়ে রয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা। টিকাপ্রাপ্তির দৌড়ে প্রথম দফায় বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত দৃশ্যত ভারতের দিকে তাকিয়ে। 

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ টিকার দিকেই হাঁটছে বাংলাদেশ; যদিও বাংলাদেশে এখনও এ টিকা বা তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার খবর নেই। তবে টিকা বিতরণের যে খসড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তৈরি করেছে, সেখানে বলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের অনুমতি পাওয়া টিকার ক্ষেত্রে প্রয়োগের আগে দেশে কোনো পরীক্ষা করা হবে না। বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে অক্সফোর্ডের টিকা আসছে বাংলাদেশে। চুক্তি মোতাবেক ইতোমধ্যে সেরামকে ৫১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা অগ্রিম পাঠিয়েছে বেক্সিমকো। 

সেরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ছয় ধাপে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। ৫০ লাখ করে ৬ মাসে মোট ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। বাকি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।  

এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের বিরাট জনগোষ্ঠীকে কিভাবে টিকার আওতায় আনা হবে। আজ (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকায় করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। বলা হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে দেশের ১৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। বিশেষ কারণ ছাড়া ১৮ বছরের নিচে কাউকে টিকার আওতায় আনা হবে না। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

টিকাদানের খসড়া একটি পরিকল্পনা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন দেশে আসার পরও প্রয়োগের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে অতিরিক্ত আরও ২ মাস। শুরুর ধাপে ৩ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে এ সংখ্যা। দ্বিতীয় ধাপে ৭ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ১১-২০ শতাংশ মানুষকে দেওয়া যাবে টিকা। পর্যায়ক্রমে ২১-৪০ শতাংশ, ৪০-৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে।

সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন কেনার জন্য ব্যয় হবে চার হাজার ২৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

কারা আগে টিকা পাবেন 
মূলত তিন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। খসড়ার যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সে তথ্য অনুযায়ী, তিন পর্যায়ে মোট ৫ ধাপে ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। 

প্রথম ধাপ প্রথম পর্যায় কোভিড মোকাবেলায় সরাসরি জড়িত চিকিৎসক, নার্স এবং মিডওয়াইফারি পেশায় নিয়োজিত কর্মী, মেডিকেল ও প্যাথলজি ল্যাব কর্মীরা, পেশাদার স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা, সাইকোথেরাপির সাথে সংশ্লিষ্টরা, মেডিসিন পারসনেল, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক। সব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্মী যারা স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন ধাপে কাজ করে কিন্তু সরাসরি কোভিড-১৯ মোকাবেলার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় যেমন স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যবস্থাপনা কর্মী, ক্ল্যারিক, বাণিজ্য কর্মী, লন্ড্রি কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য গাড়ির চালক। মুক্তিযোদ্ধা, ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যেমন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্য, অন্যান্য বাহিনী যেমন সেনাবাহিনী, নেভি, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, কোস্ট গার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ৫০ হাজার কর্মকর্তা, ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী। এছাড়াও জনপ্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কর্মী, ধর্মীয় নেতা, দাফন ও সৎকারে নিয়োজিত কর্মী, ওয়াসা, ডেসা, তিতাস ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, স্থল, সমুদ্র ও বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ, প্রবাসী শ্রমিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মী, ব্যাংক কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে এমন রোগী, রোহিঙ্গা এবং বাফার, জরুরি ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মী।
দ্বিতীয় পর্যায়  ৬০ বছর বা এর চেয়ে বয়স্ক নাগরিক
দ্বিতীয় ধাপ একটিই পর্যায় ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী নাগরিক, বয়স্ক এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষ, শিক্ষক এবং সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মী, প্রথম পর্যায়ে বাদ পড়া মিডিয়া কর্মী, দুর্গম এলাকায় বসবাসরত মানুষ, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য, গণপরিবহন কর্মী, হোটেল, রেঁস্তোরা ও ওষুধের দোকানের কর্মী, গার্মেন্টস শ্রমিক, যৌনকর্মী ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা।
তৃতীয় ধাপ  প্রথম পর্যায় শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী যারা আগের ধাপে টিকা পাননি, গর্ভবতী নারী, অন্যান্য সরকারি কর্মচারী, অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী কর্মী, অন্যান্য স্বায়ত্বশাসিত ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী, রপ্তানি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মী, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্দর কর্মী, কয়েদি ও জেলকর্মী, শহরের বস্তিবাসী বা ভাসমান জনগোষ্ঠী, কৃষি ও খাদ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মী, ডরমেটরির বাসিন্দা, গৃহহীন জনগোষ্ঠী, অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মী, বাদ পড়া গণপরিবহন কর্মী, বাদ পড়া ৫০-৫৪ বছর বয়সী নাগরিক, জরুরী ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা।
দ্বিতীয় পর্যায়  অন্য ধাপে বাদ পড়া যুব জনগোষ্ঠী, শিশু ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী, এবং এর আগের সব ধাপে বাদ পড়া জনগোষ্ঠী।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত বছরের এপ্রিলে অনুমোদন পাওয়া ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পে সংশোধনী এনে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, গত বছর অনুমোদন দেওয়া প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। সংশোধন করে ৫ হাজার ৬৫৯ কোটি ৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা। তবে নতুন করে বাড়ছে না প্রকল্পের মেয়াদ, আগের অনুমোদিত সময় ২০২৩ সালের জুনেই শেষ হবে প্রকল্পটি। প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে।

এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিনসহ আধুনিক মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব স্থাপন করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি দেশের ৫টি ইমিগ্রেশনে ৭টি মেডিকেল স্ক্রিনিং ইউনিট স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে তিনটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, চট্টগ্রামের শাহ আমানত, সিলেটের ওসমানি বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরে একটি করে ইউনিট স্থাপন করবে সরকার। এছাড়া, ৪৩টি জেলা সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও ৬৪টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এপিডেমিওলজিক্যাল ইউনিট স্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের আথ-সামাজিক বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে রাজস্ব তহবিল থেকে ১২শ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই টাকা থেকে আমরা ৯ শতাংশ মানুষের জন্য (দেড় কোটি মানুষ) সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ৩ কোটি ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নিয়েছি। ওই টাকাও ছাড়করণ করা হচ্ছে। এর বাইরে এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩১ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। তাদের টিকা দেওয়ার পর বাকি আরও ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কোভাক্স থেকে ভ্যাকসিন কিনে দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ, অর্থাৎ ৩ কোটি ৪৪ লাখ মানুষকে ২ ডলার ডোজ মূল্যে দুই ডোজ করে দেওয়া হবে। এর জন্য ব্যয় হবে এক হাজার ১৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কোভাক্স অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি কিনে ১১ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে প্রতি ডোজ ৬ দশমিক ১০ ডলার মূল্যে দুই ডোজ করে দেওয়া হবে। এর জন্য ব্যয় হবে দুই হাজার ২৬২ কোটি ৮ লাখ টাকা। এছাড়া ভ্যাকসিন পরিবহনে শিপিং খরচ হবে ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। পরিবহন ও অপারেশনের জন্য ৩৮৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা, সংরক্ষণ, কোল্ড চেইন ও সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা ব্যয় হবে ৩৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন কেনার জন্য ব্যয় হবে চার হাজার ২৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

সেরামের টিকা নিয়ে জটিলতা কাটল? 
গেল রোববার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালার সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, আগামী দুই মাসে সেরাম ভারতের টিকার চাহিদা পূরণ করবে। ভারত সরকারকে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের পরই টিকা রপ্তানি করা সম্ভব হতে পারে।  ওই সাক্ষাকারের পর শুরু হয় টিকা রফতানি নিয়ে বিভ্রান্তি। বাংলাদেশেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। কারণ ওই টিকা কেনার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তি করা হয়েছে। 

এ নিয়ে বিভ্রান্তি চলার পর মঙ্গলবার একটি টুইটে আবার ভিন্ন কথা বলেন আদার পুনাওয়ালা। টুইটে তিনি লেখেন, জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ার কারণে আমি দুটি বিষয় স্পষ্ট করছি; সব দেশে টিকা রপ্তানির অনুমোদন আমাদের দেওয়া হয়েছে এবং ভারত বায়োটেক সম্পর্কিত সাম্প্রতিক যেসব ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে প্রকাশ্যে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে।’ 

এরআগে সোমবার সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার জনসংযোগ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক সেন বলেছিলেন, টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার খবর পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ এ রকম কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

বিভ্রান্তি শুরুর পর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিইও) রাব্বুর রেজা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ঠিক সময়ে করোনার টিকা পাবে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ও সেরাম ইনস্টিটিউটের চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে- অনুমোদনের পর সেরাম ইনস্টিটিউট এক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে প্রথম ধাপের টিকা সরবরাহ করবে। বিশ্বাস করি, ঠিক সময়েই করোনা টিকা পাব। আমরা সেরামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন
সেরামের টিকা বাংলাদেশ পাবে কি-না তা নিয়ে চলমান বিভ্রান্তির মধ্যেই গতকাল নভেল করোনা ভাইরাসের ওই টিকা জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপ-পরিচালক আইয়ুব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এই ভ্যাকসিনের সব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছি এবং ভ্যাকসিনটি জরুরি ব্যবহারের বিষয়ে একটি অনাপত্তিপত্র (এনওসি) জারি করেছি।

দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আজ মঙ্গলবার সর্বশেষ যে তথ্য দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯৯১ জন। তবে রোগী শনাক্তের হার ৬ শতাংশের ঘরে নেমেছে। 

শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯৪৪ জনের সুস্থ হওয়ার তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন  ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৫৯ জন। 

এসআর/এনএফ