ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আগামী দুই মাস আমাদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠে থাকবে। যেখানেই জলাবদ্ধতা সেখানেই অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (২ জুন) ডিএসসিসি নগর ভবনে আয়োজিত ধলপুর-তেলেগু পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি নিজস্ব অর্থায়নে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য সাধারণ বৃষ্টিপাত হলে যাতে ঢাকা শহরে পানি না জমে সে কাজ অতিদ্রুত সম্পন্ন করা। এছাড়া অতিভারী বৃষ্টি হলে আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি যেন তিন ঘণ্টার মধ্যে সব পানি নে‌মে যেতে পারা। আর ভারী বর্ষণ হলে দুই ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যাবে, পাশাপাশি মাঝারি বৃষ্টি হলে এক ঘণ্টার মধ্যে পানি যেন নেমে যেতে পারে আমরা সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, গতকাল অতিভারী যে বৃষ্টিপাত হয়েছে সে বৃষ্টিপাতে অনেক জায়গাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে তা অন্যান্যবারের তুলনায় কম সময় ছিল। আগামী বর্ষা মৌসুম যেটা আসছে, আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে এই জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছি।

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আবাসস্থল প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আবাসস্থল যাদের পাওয়ার কথা অনেক সময় সেই নির্দিষ্ট জন না পেয়ে অন্যরা পায়। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে চাই, আজকের এই পরিছন্নতাকর্মীদের হাতে চাবি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এই কার্যক্রমে দীর্ঘদিনের দালালচক্রের অবসান ঘটল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আর কেউ দালালি করার সুযোগ পাবে না। যারা ডিএসসিসির মূল পরিচ্ছন্নতাকর্মী তারাই শুধু আবাসন ব্যবস্থার আওতায় থাকবে। যারা প্রাপ্য তাদেরকেই আবাসস্থল নিশ্চিত করাতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তা এয়ার কমোডর বদরুল আমিন, ডিএসসিসির ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদল সরদার, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর লাভলী চৌধুরী প্রমুখ।

এএসএস/জেডএস