ডিএনসিসির বিবৃতি
হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে প্রশাসক এজাজের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন
নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের জড়িত থাকার অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ডিএনসিসি।
রোববার (১৮ মে) ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র ও তথ্য কর্মকর্তা ফারজানা ববির দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। পরে ডিএনসিসির পোস্টটি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ তার ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করেন।
বিজ্ঞাপন
ডিএনসিসির সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, এই অভিযোগগুলো মূলত তাদের কাছ থেকে এসেছে, যারা পূর্ববর্তী সময়গুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, পরিবেশের ক্ষতি ও স্বৈরাচারী আচরণের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ এজাজ ধারাবাহিকভাবে সোচ্চার থেকেছেন।
সেখানে বলা হয়, মোহাম্মদ এজাজ একজন দীর্ঘদিনের পরিবেশকর্মী, লেখক ও চিন্তাবিদ। তিনি প্রায় ১৬ বছর ধরে নদী রক্ষা, জলাধার সংরক্ষণ এবং পানির ন্যায্য বণ্টন নিয়ে কাজ করে আসছেন। তিনি জল-সংকট, আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ও পানির ওপর নির্ভরশীল মানুষের অধিকার নিয়ে অবস্থান নিয়ে কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থে আঘাত করেছেন। ফলে পরিকল্পিতভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে একটি চক্র।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৫ সালে তার মালিকানাধীন একটি ভবন থেকে কয়েকজন সন্দেহভাজন হিযবুত তাহরীরের সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়। অথচ সেই ভবনে তিনি বসবাস করতেন না এবং ঘটনার সঙ্গে তার সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। শুধু মালিকানা সূত্রে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে আইনগত তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় মোহাম্মদ এজাজ সম্পূর্ণরূপে খালাস পান এবং আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হন।
ডিএনসিসির ভাষ্য অনুযায়ী, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। মোহাম্মদ এজাজ ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের প্রবণতার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার। তিনি এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন, কলাম লিখেছেন এবং মতপ্রকাশের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, একজন সক্রিয় নাগরিক হিসেবে মোহাম্মদ এজাজ শুধু একজন প্রশাসক নন, বরং তিনি দেশের গণতন্ত্র, পরিবেশ এবং মানবাধিকার রক্ষায় এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে এ কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রার প্রতিকূল।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সবাইকে গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, যেকোনো তথ্য যাচাই না করে প্রচার করলে তা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এএসএস/এসএসএইচ