রক্ষক বিএমইটিই ভক্ষক
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
৩০ কিলোমিটার সড়কে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৮০ কোটি টাকা, তদন্তে বেরোল যেভাবে
সড়কটি ২০২২ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা অল্প টাকায় মেরামত করা সম্ভব। কিন্তু সেই সড়কে ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয়ের আয়োজন করেছিল সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক মন্ত্রণালয়ের তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
সড়কটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলায় পড়েছে। নাম সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক। দৈর্ঘ্য ৩০ কিলোমিটার। সড়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কৌশলে বিপুল ব্যয়ের চেষ্টা ধরা পড়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুগান্তর
চলমান সংকট থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে এখন আর তেমন কিছু নেই। আলোচনা ও দাবিদাওয়া পেশ শেষ। এখন সরকার তথা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনতেই অধীর অপেক্ষায় পুরো জাতি। এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসাবে সৃষ্ট পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যুগান্তরের কাছে কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমন মন্তব্য করে বলেন, সত্যি কথা বলতে কি-বল এখন সরকারের কোর্টে। সরকারকেই জনআকাঙ্ক্ষার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সমাধান দিতে হবে।
সমকাল
রাজনীতিতে কমেছে উত্তেজনা, কাটেনি অনিশ্চয়তা
পদত্যাগের আলোচনার পর দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমলেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে রয়েছে। গতকাল রোববারও প্রধান উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
সরকার সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বললেও ভোটের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা না করায় হতাশ-ক্ষুব্ধ বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পথনকশার (রোডম্যাপ) দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে আরও জোরালো অবস্থান নিয়েছে। বিচার-সংস্কার-নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ চাওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দাবিনামাও দীর্ঘ হয়েছে।
কালের কণ্ঠ
দপ্তর ছেড়ে মিছিলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অধ্যাদেশের কিছু ধারাকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গতকাল রবিবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ’। শত শত কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে মিছিলে যোগ দেন। বিপুলসংখ্যক কর্মচারীর উপস্থিতিতে মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হয় ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’।
বণিক বার্তা
৩ থেকে এখন ৬ শতাংশের কাছাকাছি ব্যাংক স্প্রেড
সুদহার বাজারভিত্তিক করার পর থেকেই দেশে ব্যাংক খাতের স্প্রেড ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চেও গড় স্প্রেড ছিল ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ধারাবাহিকভাবে বেড়ে এখন ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশে ঠেকেছে। আর কিছু ব্যাংকের স্প্রেড ছুঁয়েছে ১০ শতাংশে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তা ৪ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
কালের কণ্ঠ
চলতি মাসের শুরুতে দেশের সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় বেড়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশ ইন। কখনো তারা তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মায়ানমারের নাগরিকদের পুশ ইন করছে, আবার কখনো ভারতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের আটক করা নাগরিকদের ঠেলে দিয়েছে। গত ৭ থেকে ২৫ মে ১৮ দিনে ১১ জেলার সীমান্ত দিয়ে ৫২৮ জনকে পুশ ইন করা হয়। এই সময়ে খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুমিল্লা ও ফেনী জেলার সীমান্ত দিয়ে সর্বমোট ৪৫০ জনকে পুশ ইন করেছে ভারত।
বণিক বার্তা
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১ কোটি শিশু শিক্ষার্থী
চাকরির শুরুতে ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে আজ থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর জোট ‘সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ জানিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি সহকারী শিক্ষকনির্ভর হওয়ায় আন্দোলনের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে এক কোটিরও বেশি শিশু শিক্ষার্থী।
কালবেলা
পেটের দায়ে, পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে দেশ ছাড়ছেন বাংলাদেশের বহু নারী। কিন্তু স্বপ্নের বিদেশে পা রেখেই বদলে যাচ্ছে সেই স্বপ্নের রূপ। তারা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন যৌন নিপীড়ন, শারীরিক নির্যাতন আর নিঃস্ব করে ফেলা এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার। এরপর এসব নারীর কেউ কেউ বিদেশ থেকে ফিরছেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, কেউ বা সদ্যোজাত সন্তান কোলে নিয়ে। দেশে ফিরে পরিবার ও সমাজের তির্যক দৃষ্টির শিকার হচ্ছেন তারা, হারাচ্ছেন ঠাঁই, সম্ভ্রম ও স্বীকৃতি—সবকিছুই। অথচ এ নারীরাই জীবন বাজি রেখে দেশের রেমিট্যান্সের চাকা সচল রেখেছেন।