ডাক বিভাগ যেন সরঞ্জামের ‘ভাগাড়’
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
সরকারি জমিতে সস্তায় ফ্ল্যাট নিয়েছেন সচিবেরা, তালিকায় কারা রয়েছেন
সরকারি একটি সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা। তাঁরা পর্ষদে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি টাকায় অধিগ্রহণ করা জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণ করছেন। ব্যয় করা হচ্ছে প্রকল্পের টাকা। সেই ফ্ল্যাট আবার নিজেদের নামে খুবই কম দামে বরাদ্দ নিয়েছেন সচিবেরা।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষে (বাসেক)। বিভিন্ন সময় সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদে থাকা সচিবেরা যেমন ফ্ল্যাট নিয়েছেন, তেমনি দেওয়া হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী আমলাদের। ফ্ল্যাট পাওয়া সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার সংখ্যা ৩২। তাঁদের মধ্যে চারজন চাকরিতে রয়েছেন। দুজন অবসরের পর বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে (এডিবি)
সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। বাকিরা অবসরে গেছেন।
সমকাল
শুধু বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করায় অসন্তুষ্ট জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনও। অন্যদিকে বৈঠককে ইতিবাচক উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ এলডিপি, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল।
জামায়াতে ইসলামী এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে দলটির এক শীর্ষ নেতা সমকালকে বলেছেন, শুধু বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলগুলোকে রাজনৈতিকভাবে অবমূল্যায়ন ও ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। সর্বদলীয় আলোচনায় নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত ছিল।
বণিক বার্তা
সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ভোট ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে আগামী রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বলেছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। লন্ডনে গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমকাল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ২৪ শতাংশ রক্তদান
নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) পাঁচ ধরনের পরীক্ষা করার সুপারিশ করে। তবে বাংলাদেশসহ নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ২৪ শতাংশ রক্ত পরিসঞ্চালনে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। এতে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে রক্তগ্রহীতার জীবন। এমন পরিস্থিতি উত্তরণে রক্তদানে গুণগত মান নিশ্চিতে জাতীয় কর্মসূচি নেওয়া জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ শনিবার বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালিত হচ্ছে। ডব্লিউএইচওর নীতিনির্ধারণী ফোরাম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেমব্লি ২০০৫ সালে ১৪ জুনকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি
দেয়। এর পর থেকে দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য– ‘রক্ত দিন, আশার আলো দিন, এক সাথে আমরা জীবন বাঁচাই’।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
সরকারি অর্থে হজে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মালি, চালক গানম্যান ও পিয়ন
হাজিদের সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পাদনের বিষয়টি দেখভাল করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাদের নিরাপদ হজ সফর নিশ্চিতের জন্য প্রতি বছর মন্ত্রণালয়টি থেকে কয়েকটি টিম গঠন করা হয়। টিমগুলো হাজিদের সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে হজের মৌসুমে সৌদি আরব অবস্থান করে। অন্যান্য বছরের মতো এবারো হাজিদের সেবা দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচটি টিমের অধীনে ২৯৩ জন সৌদি আরব অবস্থান করছেন।
দেশ রূপান্তর
ঈদে ফিরতি যাত্রায় বাড়তি ভাড়া আদায়, অবৈধ গাড়ি পার্কিং, লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং অবৈধ লাইসেন্সের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে বাসের চালক, বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারকে সাজা দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আজকের পত্রিকা
ভিসা জটিলতায় কঠিন হচ্ছে বাংলাদেশিদের বিদেশ ভ্রমণ
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো গত কয়েক বছরে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য। অনেকেই ভিয়েতনাম ভ্রমণের পাশাপাশি প্রতিবেশী কম্বোডিয়া ও লাওস ঘুরে আসেন। ভ্রমণে গিয়ে কেউ সেখানে থেকে যান, কেউ আবার অবৈধভাবে অন্য দেশে পাড়ি জমান। এসব কারণে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসাপ্রাপ্তি কঠিন করে তুলেছে দেশগুলো। আগে যেখানে ই-ভিসা কিংবা অন-অ্যারাইভাল সুবিধায় সহজেই ভ্রমণ করা যেত, এখন সেখানে ভিসা পেতে সময় লাগছে এক থেকে দুই মাস। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাতও হচ্ছে।
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশও বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা দেওয়া বন্ধ বা সীমিত করেছে। ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশে অবকাশযাপন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশীয় ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সি, এমনকি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর।
যুগান্তর
সরকারের ঋণের দায় (গত মার্চ পর্যন্ত) ১৯ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ছুঁইয়েছে। অর্থ বিভাগের ধারণা, চলতি অর্থবছর (২০২৪-২৫) শেষে অর্থাৎ জুন পর্যন্ত সাড়ে ১৯ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে। তবে জুনের হিসাব এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আবার সরকারের এ ঋণনির্ভরতা অব্যাহত থাকলে নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) সরকারের মোট ঋণের স্থিতি প্রায় ২২ লাখ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে-এমন পর্যবেক্ষণ উঠে আসছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে।
প্রথম আলো
ডাক বিভাগ যেন সরঞ্জামের ‘ভাগাড়’
ডাকব্যবস্থাকে আধুনিক ও গতিশীল করতে দেশের ১৪ জেলায় মেইল প্রসেসিং ও লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টার (এমপিসি) তৈরি করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এতে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হলেও সেন্টারগুলো অনেকটা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। চালুর তিন বছরের মধ্যে সেন্টারগুলো শতকোটি টাকা ব্যয়ে কেনা সরঞ্জামের ‘ভাগাড়ে’ পরিণত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উদ্যোগ নিয়েও সব সেবা চালু না করা এবং চাহিদা না বুঝে সরঞ্জাম কেনায় সরকারের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। উদ্দেশ্য ছিল সরঞ্জাম কেনায় বাণিজ্য করা। তা দরকার কি না, তা যাচাই করা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করার দিকে জোর ছিল না।
কালের কণ্ঠ
বাতাসে আর্দ্রতার ওঠানামার কারণে ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আক্রান্ত হচ্ছে জ্বরে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, টাইফয়েড ও মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বেশির ভাগ মানুষ। সব কয়টি জ্বর ভাইরাসজনিত।
উপসর্গও প্রায় একই রকম। অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গ বুঝে পরীক্ষা করেও নেগেটিভ ফল পাওয়া যাচ্ছে।
কয়েক দিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকের চেম্বারগুলোতে এসব জ্বরের রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে। বেশির ভাগ রোগী আসছে সাধারণ ভাইরাসজনিত ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত জ্বর নিয়ে।
কালবেলা
দুই বছরে ঝরেছে ৬ লাখ শিক্ষার্থী
এইচএসসি ও সমমানের চলতি বছরের (২০২৫) পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৬ জুন থেকে। যাতে অংশ নেবে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার নিয়মিত শিক্ষার্থী, যারা ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। ওই বছর উত্তীর্ণ প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না, যা মোট শিক্ষার্থীর ৩৬ শতাংশ। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়াকে উদ্বেগজনক মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিল। তাদের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে (একাদশ, আলিম, ভোকেশনাল একাদশ) ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮৮৯ জন রেজিস্ট্রেশন করেছে। এর অর্থ, এসএসসি পাস করার পর ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৫১ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিই হয়নি, যা ভর্তি পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করার পরও চূড়ান্ত এইচএসসি পরীক্ষার জন্য মাত্র ১০ লাখ ৫০ হাজার ২৮৫ জন ফরম পূরণ করেছে। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন করেও ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৪ জন (২১ দশমিক ০২ শতাংশ) শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না।