দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যেসব সুপারিশ জানালো যাত্রী কল্যাণ সমিতি
সদ্য বিদায়ী ঈদুল আজহার যাতায়াতে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৪১৫টি দুর্ঘটনায় ৪২৭ জন নিহত ও ১১৯৪ জন আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনার জন্য ৯টি কারণ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য উপস্থাপন করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময় যাত্রী কল্যাণ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ঈদে সংগঠিত দুর্ঘটনার কারণগুলো হচ্ছে— ঈদের আগে ছুটি কম থাকায় একসঙ্গে বেশি মানুষ রাস্তায় নামায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা অবাধে চলাচল, জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা, সড়কে মিডিয়ান বা রোড ডিভাইডার না থাকা, সড়কে গাছপালায় অন্ধকারের সৃষ্টি, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রীবহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং বিরামহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো এবং বৃষ্টিতে সড়কের মাঝে গর্তের সৃষ্টি, ভাঙ্গছেরা সড়ক ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সুপারিশগুলো হচ্ছে— মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কে ফুটপাতসহ সার্ভিস লেইনের ব্যবস্থা করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকের বেতন ও কর্ম ঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন উন্নত বিশ্বের আদলে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা, সারা দেশে উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, মেয়াদোর্ত্তীণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবত ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী চালকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ভ্যাট ও আয়কর অব্যাহতি দিতে হবে এবং ঈদের আগে ঈদের ছুটি ৪ দিন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
এমএইচএন/এমএন