যতক্ষণ ফিলিস্তিন স্বীকৃতি পাচ্ছে না, ততক্ষণ ইসরায়েলও না
ফিলিস্তিনের সঙ্গে আত্মার আত্মীয় সম্পর্ক জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পাওয়া অবধি ইসরায়েলকে গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি কর্তৃক ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের কাছে জরুরি ওষুধ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সরকার নয়, আমাদের দেশের মানুষেরও তাদের (ফিলিস্তিন) জন্য সিমপেথি রয়েছে। ফিলিস্তিন আমাদের বড় বন্ধু। আমাদের জাতির পিতার সময় থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে আমাদের আত্মার আত্মীয় সম্পর্ক। আমরা বিশ্বাস করি যতদিন স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠিত না হবে আমরা ততদিন তাদের সঙ্গে আছি। আমরা ইসরায়েলকে গ্রহণ করব না। আমরা এখনও তাদের স্বীকৃতি দেইনি।’
একদিন ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে আশা প্রকাশ করে ড. মোমেন বলেন, ‘তারা (ইসরায়েল) বারবার আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছে। ফিলিস্তিন ভাইদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া অবধি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওদের স্বীকৃতি দেব না। আমরা বিশ্বাস করি ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে।’
বিজ্ঞাপন
১৯৬৭ সালের আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের সীমানা অনুসারে বাংলাদেশ দুই রাষ্ট্রের সমাধান চান বলেও জানান মোমেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশকে সরকারি সাহায্য পাঠানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণও অনুভূতির জায়গা থেকে দেশটির জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা করোনার মধ্যে অন্য দেশগুলোকে সরকারি সাহায্য পাঠিয়েছি। কিন্তু ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সাহায্য পাঠাচ্ছে।’
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে ১৪শ কেজি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এসব ওষুধের মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কখনও ভুলবে না ফিলিস্তিন : রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে হামলা করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি কঠিন সময় পার করছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত রামাদান বলেছেন, কঠিন সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারকে কখনও ভুলব না।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মতো শব্দ আমার অভিধানে নেই। আমরা এই সহযোগিতার কথা কখনও ভুলব না। আর এটাই হচ্ছে আমাদের দু’দেশের জনগণের গভীর সম্পর্ক। গত ৫০ বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক আরও দূঢ় হচ্ছে।’ দেশটির জন্য আরও জরুরি ওষুধ প্রয়োজন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত রামাদান।
এনআই/ওএফ