ভোটের নজরদারিতে তিনদিন মাঠে থাকতে পারবে পর্যবেক্ষক সংস্থা : ইসি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের নজরদারিতে তিনদিন পর্যন্ত মাঠে থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দিন মাঠ থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে পারবে সংস্থার প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৫ চূড়ান্ত করে প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নতুন নীতিমালায় পর্যবেক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির পরিবর্তে ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদ জমা দিতে বলা হয়েছে। নীতিমালার ৮.৩ ধারায় পর্যবেক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে বলে জানানো হয়েছে এবং ৮.২ ধারায় পর্যবেক্ষকের বয়স ন্যূনতম ২১ বছর বা তদুর্ধ্ব হতে হবে।
নীতিমালায় আরও জানানো হয়, ১০.১-অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থা ৩ দিনের জন্য (নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দিন) পর্যবেক্ষক মোতায়েন করতে পারবে। তবে অনুমোদিত পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন কমিশন হতে মুদ্রিত বিশেষ নির্দেশনা সম্বলিত ‘পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র’ ভোটগ্রহণের ন্যূনতম ৩ দিন আগে নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৯৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। কিন্তু ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন বিষয়ে বিদ্যমান নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীতে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধিত করা হবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার আট হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট দেখেছেন।
এসআর/এসএম