সব পরিবহনে এক কার্ড ‘র‌্যাপিড পাস’ ব্যবহারের প্রচলন করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেলের পাশাপাশি রোববার (২০ জুলাই) থেকে হাতিরঝিল চক্রাকার বাস, ওয়াটার ট্যাক্সি ও বিআরটি রুটের বিআরটিসি বাসে এই সেবা শুরু হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সব পরিবহনে এই র‌্যাপিড পাসের উদ্বোধন করেন।

বাসে যেভাবে ব্যবহার করবেন র‌্যাপিড পাস

র‌্যাপিড পাস ব্যবহার করা যাবে এমন প্রতিটি যানবাহনের ভেতর শুরুতে স্থাপন করা হয়েছে একটি ডিভাইস। এই ডিভাইসটি র‌্যাপিড পাস ও কিউআর কোড রিড করতে সক্ষম। ডিভাইসে র‌্যাপিড পাস কীভাবে ব্যবহার করা যাবে, তা জানিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।

ডিভাইসটি ব্যবহার করতে শুরুতে র‌্যাপিড পাসটি হাতে নিন। ভ্যালিডেটর ডিভাইসের এনএফসি রিডারে কার্ডটি সঠিকভাবে ট্যাপ করুন। স্ক্যানিং ১০০ শতাংশ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কার্ডটি স্থির রাখুন।

যদি কিউআর টিকিট ব্যবহার করেন তাহলে কিউআর টিকিটটি ডিভাইসের ক্যামেরার সামনে সঠিকভাবে ধরুন।

যাত্রা শেষ করার সময় গন্তব্যে পৌঁছে বাস থেকে নামার আগে আবার কার্ড ট্যাপ করুন বা কিউআর টিকিটটি স্ক্যান করুন। এটি সঠিক ভাড়া হিসাব করতে এবং যাত্রা সমাপ্ত করতে সাহায্য করবে।

স্ক্রিনে ‘সফল’ বার্তা ও শব্দ শুনলে বুঝবেন যাত্রা শুরু বা শেষ হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা

• যাত্রার শেষে ট্যাপ না করলে পুরো রুটের ভাড়া কেটে নেওয়া হবে।

• যাত্রার শেষে ট্যাপ করার পর একবার ‘সফল’ বার্তা দেখলে পুনরায় ট্যাপ করবেন না, তাহলে এটি নতুন যাত্রা হিসেবে গণ্য হবে।

• র‍্যাপিড পাস কার্ডে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলে স্ক্রিনে ‘অপর্যাপ্ত ব্যালেন্স’ বার্তা দেখাবে। এই অবস্থায় র‍্যাপিড পাস কার্ড রিচার্জ করে পুনরায় যাত্রা করতে পারবেন।

• সমস্যা হলে কন্ডাক্টরের সহায়তা নিন। র‍্যাপিড পাস কার্ড বিষয়ে মতামত বা অভিযোগ থাকলে ভিজিট করুন www.rapidpass.com.bd এই ওয়েবসাইটে।

এমএইচএন/এমএ