রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর প্রায় এক‌দিন হ‌তে চললেও এখ‌নো খোঁজ মে‌লে‌নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসা ম‌নির। তার প‌রিবার ঢাকার হাসপাতালে হাসপাতা‌লে খুঁজে বেড়াচ্ছে তাকে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপু‌রে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রাইসার খোঁ‌জে আসেন তার চাচা এমদাদুল হক। বার্ন ইনস্টিটিউটের মূল ফট‌কের সাম‌নে কথা হয় এমদাদুলের সঙ্গে।

মোবাইল ফোনে থাকা রাইসার ছ‌বি দেখিয়ে চাচা এমদাদুল ব‌লেন, আমার ভা‌তি‌জি রাইসা মনিকে খুঁ‌জে পা‌চ্ছি না। রাইসা মাইলস্টোন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে প‌ড়ে। কাল‌ রাইসা স্কু‌লে গেছে। বিমান দুর্ঘটনার খবর পে‌য়ে আমাদের প‌রিবার স্কু‌লে যায়, কিন্তু ও‌কে পাওয়া যায়নি।

এমদাদুল জানান, স্কু‌লে না পে‌য়ে আমরা বি‌ভিন্ন হাসপাতা‌লে খুঁ‌জছি তাকে। কোথাও ওর খোঁজ পা‌চ্ছি না। এক‌দিন হ‌য়ে গেল মে‌য়েটা‌কে পেলাম না। প‌রিবার মে‌য়ের জন্য পাগল হ‌য়ে আছে। মে‌য়েটা আছে নাকি কিছু হ‌য়ে গেল!

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

এ দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন।
 
এনআই/জেডএস