জাতীয় অধ্যাপক, বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউডার সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)-তে স্মরণসভা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) ধানমন্ডিতে ইউডা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ‌‘শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ড. এমাজউদ্দীন আহমদের অবদান’ বিষয়ে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ড. এমাজউদ্দীনের কন্যা এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমিও ক্লাস নিয়েছি। আজ সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে। আমার বাবা আজীবন গণতন্ত্র ও রাজনীতি নিয়ে লেখালেখি করেছেন, কিন্তু নিজেকে কখনও বুদ্ধিজীবীর আসনে বসাননি। এই ছাত্রজনতা, এই যুবসমাজের হাত ধরেই বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউডার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রফেসর মুজিব খান। তিনি বলেন, ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাকে সব রাজনৈতিক দলই শ্রদ্ধা করতো। ইউডা ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণায় তার স্মৃতি জড়িয়ে আছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউডার উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম।

স্মরণ সভায় অন্যান্যরা স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন কেবল একজন শিক্ষক নয়, ছিলেন একজন দূরদর্শী চিন্তক ও গবেষক। শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান এবং গণতান্ত্রিক চিন্তার বিশ্লেষণ আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তরুণদের মাঝে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে তার জীবন ও দর্শন পথ দেখাবে।

অনুষ্ঠানে ইউডার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এমএইচএন/এআইএস