হুদা কমিশনের প্রশিক্ষণে সাড়ে ৭ কোটি টাকার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও তার কমিশনের সময়ে নীতিমালা ছাড়া ভুয়া প্রশিক্ষণ দেখিয়ে ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার, সচিব ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে নীতিমালা ছাড়া ভুয়া প্রশিক্ষণ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনের ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধনসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিস্তারিত অনুসন্ধান দল বলতে পারবে। এর বাইরেও অন্য কোনো অনিয়ম থাকলে অনুসন্ধান দল তা খুঁজে বের করবে। একাদশ জাতীয় সংসদে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের নামে সাড়ে ৭ কোটি ক্ষতি সাধনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
কে এম নুরুল হুদার অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেন সুপ্রিমকোর্টের ১০ আইনজীবী।
নুরুল হুদা ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন- কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এছাড়াও ইসি’র বর্তমান সচিব আলমগীর হোসেন ও সাবেক সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে।
এর আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রচলিত দামের ১০ গুণেরও বেশি দামে তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্পে অর্থের অপচয়ের বিষয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্ট কুশীলবদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের টিম কাজ করছে বলে জানা গেছে। চলতি বছরের ২২ জুন নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরএম/এমএ