জামিনে বের হয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন জেনেভা ক্যাম্পের দুই মাদক কারবারি চুয়া সেলিম ও বুনিয়া সোহেল।

এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ নাজমুল্লাহেল ওয়াদুদ।

সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

নির্বাচনকে ঘিরে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, সে বিষয়ের র‍্যাবের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক বলেন, আমাদের কাজ আসামি গ্রেপ্তার করা। আমরা গ্রেপ্তার করছি। তারা আদালতের মাধ্যমে জামিন পেয়েছেন। জামিন পেয়ে আগের মতোই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কবজি কাটা আনোয়ারকে আমরা গ্রেপ্তারের পর এখনো কারাগারে আছেন।

মেজর মোহাম্মদ নাজমুল্লাহেল ওয়াদুদ বলেন, একটা কুচক্রী মহলের অস্ত্র ব্যবহার করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার সম্ভাবনা তো আছেই। এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী এবং আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একে অপরের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে কাজ করছে, সুনিশ্চিত তথ্যের মাধ্যমে আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

এদিকে, কেরানীগঞ্জ ঘাটারচর এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রোববার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২ এর একটি দল।

গ্রেপ্তাররা হলেন– সাইদুল ইসলাম ওরফে স্বপন, মো. রায়হান, মেহেদী হাসান ইউসুফ, মো. আবুল হাসেম ও জুয়েল মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক বলেন, রোববার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ জানতে পারে কেরানীগঞ্জ ঘাটারচর এলাকায় একজন মাদক কারবারি ও অস্ত্র বিক্রেতা অবস্থান করছে।

পরে র‍্যাব-২ এর অভিযানিক দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সাইদুল ইসলামকে আটক করে এবং তার দেওয়া তথ্যে তার বাসার রুমের খাটের নিচে থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

মেজর মোহাম্মদ নাজমুল্লাহেল ওয়াদুদ বলেন, পরে সাইদুলের দেওয়া তথ্যে তার অন্য সহযোগী রায়হান ও মেহেদী হাসান ইউসুফকে সাভারের ভাকুর্তা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে আবুল হাসেম ও জুয়েল মিয়াকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে ভিত্তিতে র‍্যাব জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে ও অসৎ উদ্দেশে অবৈধ অস্ত্র কেনা-বেচা করে আসছিলেন। গ্রেপ্তার আসামিরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের কারবার, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সময় অস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করে আসছিল। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

জেইউ/এসএসএইচ