রোহিঙ্গা এক নারীকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির কাজে সহায়তার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক কমিশনারসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৪ জুন) দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ দফতর ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের ৩৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্ম নিবন্ধন সনদ সহকারী সুবৰ্ণ দত্ত, রোহিঙ্গা নাগরিক অহিদা, অহিদার শনাক্তকারী ও কথিত চাচা চট্টগ্রামের বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলাম এবং রোহিঙ্গা নাগরিক অহিদার বানানো পিতা-মাতা মোহাম্মদ ইসমাইল ও মেহেরজান।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া পরিচয় ও নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয়তা সনদপত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করেন। পরে ওই সনদ দেখিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করার চেষ্টা করেন রোহিঙ্গা নাগরিক অহিদা।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অহিদা ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল বরাবর আবেদন করে নাগরিক সনদপত্র নেন। একইসঙ্গে ওই বছরের ৭ নভেম্বর অহিদা জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়ার জন্য পিতা হিসেবে আসামি মো. ইসমাইল ও মাতা হিসেবে মেহেরজানকে দেখায়। দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায় তারা অহিদার প্রকৃত পিতা-মাতা নন এবং বাংলাদেশিও নন, তারা মিয়ানমারের নাগরিক। বর্তমানে ইসমাইল ও মেহেরজান দুজনই সৌদি প্রবাসী। 

অন্যদিকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরিতে সরাসরি কমিশনার ইসমাইল ও সহকারী সুবর্ণ দত্ত সহায়তা করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরএম/জেডএস/জেএস