দোহার-নবাবগঞ্জ আলাদা না করতে ইসির সামনে মানববন্ধন
দোহার-নবাবগঞ্জের অর্থাৎ ঢাকা-১ সংসদীয় আসনের আলাদা পুনর্বিন্যাস না করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে মানববন্ধন করেছে দোহার-নবাবগঞ্জবাসী। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও দোহার-নবাবগঞ্জবাসীর দাবি তুলে ধরেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ মোল্লা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দোহার-নবাবগঞ্জের এলাকাবাসী নির্বাচন ভবনের সামনে তাদের দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জকে আলাদা করে দোহারকে একটা আসন করা হলে উন্নয়নমূলক কাজে বাধাগ্রস্ত হবে। আবার অনেকে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য ঢাকা-১ আসনকে ভাগ করতে চাচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা একটা ষড়যন্ত্র। আশা করি এটা যেভাবে আছে, সেভাবেই রাখা হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে বিলম্বিত হয়, সেই কারণে অনেকে আবেদন করেছে। যদি ঢাকা-১ আসন দোহারকে করা হয় এবং নবাবগঞ্জের কিছু অংশ যদি নিয়ে করা হয় তাহলে এখানকার ভুক্তভোগী যারা আছে তারা হয়তো মামলা করতে পারে। মামলা করলে তখন দেখা যাচ্ছে যে, ওই মামলার শুনানির কারণে তখন আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে যাতে না হতে পারে এই একটা ষড়যন্ত্রমূলক উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য অনেকেই আবেদন করেছে।
অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ মোল্লা বলেন, আমরা চাই সবার স্বার্থে ঢাকা-১ আসনকে একসঙ্গেই রাখা হোক। আমরা দোহার-নবাবগঞ্জবাসী একসঙ্গেই থাকতে চাই। কেউ বিভ্রান্ত সৃষ্টি করলে কোনো কাজ হবে না।
এদিকে, তুরাগকে সংসীয় আসন ঢাকা ১৮ থেকে ঢাকা ১৬ সংযুক্ত না করারও দাবি জানিয়েছে তুরাগের সর্বস্তরের জনগণ।
ফুয়াদ হোসেন নামের এলাকাবাসী সাংবাদিকদের বলেন, তুরাগের জনগণ ঢাকা-১৮ এর সঙ্গে অভ্যস্ত। তারা ঢাকা-১৬ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চায় না। আশা করি নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৮ আসনের জনগণের এ দাবিকে মূল্যায়ন করবে।
এদিকে কামরাঙ্গীরচরের জনগণের ব্যানারে একদল এলাকাবাসী ঢাকার দক্ষিণ সিটির ৫৬ ও ৫৭ নাম্বার ওয়ার্ডকে ঢাকা-৭ আসনের সঙ্গে যুক্ত করায় ইসিকে অভিনন্দন জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডকেও ঢাকা ৭ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।
এসআর/বিআরইউ