গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পার হলেও জড়িতদের কারো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ডা. তাহের বলেন, আমরা পুলিশের যে ভূমিকা দেখলাম এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যদের যে ভূমিকা দেখলাম, তা আমাদের অতীতের অত্যাচারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সরকার জুলাই আন্দোলনের ফসল। অথচ তাদের সময়ে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আটক করার কথা ছিল, কিন্তু তারা এখনো সেটা নিতে পারেনি। আমরা এজন্য সরকারের ভূমিকার নিন্দা জানাই।

তিনি সতর্ক করে বলেন, জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাইছে না। কিন্তু জনগণ বিক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিরোধে যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে তাহলে ভারত ও ভারতের দালালদের যেভাবে মোকাবিলা করেছি, প্রয়োজনে অপশক্তির মোকাবিলা করার পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে এই সরকারকে বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।

নুরের ওপর হামলাকে পরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে ডা. তাহের বলেন, নুরুল হক নুর অত্যন্ত প্রমিনেন্ট ও জনপ্রিয় নেতা। আন্দোলনে একাধিকবার জেল খেটেছেন। তার ওপর এ ধরনের নৃশংস আক্রমণ কল্পনাতীত। আগে অনেকবার তার ওপর হামলা হয়েছে। বিরোধী শক্তির পাশাপাশি আমাদের সাথীদের ওপরও হামলা হয়েছে। এবারও হামলার পেছনে কোনো গোপন ষড়যন্ত্র আছে কি না, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। সরকারকে বিষয়টি উদঘাটন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডাক্তাররা জানিয়েছেন, নুরের মারাত্মক ইনজুরি হয়েছে। তাকে রক্তাক্ত করে টার্গেট করে আক্রমণ করা হয়েছে। এ ধরনের পরিকল্পনা আগে না থাকলে হঠাৎ করে একটি দল এত বড় আক্রমণ চালাতে পারত না। এর পেছনে নিশ্চিতভাবে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা রয়েছে।

নুরের চিকিৎসা প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, প্রয়োজন হলে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা জুলাই আন্দোলনের শরীক দলগুলোর সঙ্গে বসে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করব এবং প্রয়োজনীয় কর্মসূচি ঘোষণা করব।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবির প্রতি সমর্থন জানান।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমির তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নুরকে দেখতে যায়। এ সময় দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির হেলাল উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএএ/জেডএস