ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) কাউন্সিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (সিএ) ২০২৬-২৯ মেয়াদে নির্বাচন করবে বাংলাদেশ। নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থন চেয়ে ঢাকায় সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছে ঢাকা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যাব বাংলাদেশের পক্ষে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ইউপিইউর কাউন্সিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ২০২৬-২৯ মেয়াদে নির্বাচনে প্রার্থিতা করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ গ্রুপ-৪-এ এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে প্রার্থিতা করবে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৮তম ইউনিভার্সাল পোস্টাল কংগ্রেসের প্লেনারি সেশনে এ নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছে, সমর্থন চেয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ইউনিভার্সাল পোস্টাল  ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রের ২৫টি মিশনের কূটনীতিককে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সদস্য রাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার ছাড়াও চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স এবং অন্যান্য কূটনীতিকরা ব্রিফে অংশ নেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইউপিইউর কাউন্সিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এর আগেও বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার নির্বাচিত হয়েছে। এবার ২০২৬-২৯ মেয়াদে কাউন্সিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে প্রার্থিতা করছে। সেজন্য ঢাকায় সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মিশনগুলোর সমর্থন চাইতে কূটনীতিকদের ব্রিফ করা হয়েছে।

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন জাতিসংঘের অধীনে একটি বিশেষায়িত এজেন্সি, যার কাজ হলো আন্তর্জাতিক ডাক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা ও তাদের নীতিগত সহায়তা দেওয়া। ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের সার্বিক কার্যক্রমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পোস্টাল অপারেশন কাউন্সিলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পোস্টাল অপারশেন কাউন্সিলের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ডাক সার্ভিস বিষয়ক গবেষণা, আন্তর্জাতিক ডাক মাশুল হার নির্ধারণ, ডাক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, ডাক সার্ভিস উন্নতকরণ, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম ইত্যাদি।

১৯৭৩ সালে ইউপিইউ এর সদস্যপদ গ্রহণ করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটিতে বেশ কয়েকবার কাউন্সিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও পিওসিতে নির্বাচিত হয়েছে।

এনআই/এসএম