চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সিয়ামের অবস্থার উন্নতি হয়নি। তিনি চারদিন ধরে পার্কভিউ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। মাঝেমধ্যে খিঁচুনিতে কেঁপে উঠছে তার দেহ। বর্তমানে তার জ্ঞানের লেভেল ৮ থেকে ৯ এর মধ্যে। একজন স্বাভাবিক মানুষের কনশাস লেভেল ১৫। এটি ১০–এর ওপরে ওঠার আগপর্যন্ত তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। 

এদিকে ইমতিয়াজের চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) মেডিকেল বোর্ড বসেছে। ৬ সদস্যের বোর্ডে ছিলেন ডা. মো. ইসমাইল, ডা. মনজুরুল ইসলাম, ডা. মো. তৈয়ব, ডা. মো. রেজাউল করিম, ডা. এ টি এম রেজাউল করিম ও ডা. মো. সাজ্জাদ হোসাইন।

মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে পার্কভিউ হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ঢাকা পোস্টকে জানান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত হয়েছে— গতকালকে (মঙ্গলবার) ইমতিয়াজের সিটি স্ক্যান রিপোর্টে রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। আজকেও পুনরায় সিটি স্ক্যান করা হবে। আজও যদি রক্তক্ষরণ দেখা যায়, অভিভাবকের সম্মতি সাপেক্ষে অপারেশন করাতে হবে। আমরা অলরেডি সিটি স্ক্যান করে ফেলেছি। রিপোর্ট নিউরোসার্জন ডা. মো. ইসমাইল ও ডা. মনজুরুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছে। উনারা পরামর্শ করে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী চিকিৎসা দেব। তার জ্ঞানের লেভেল ৮-৯ এর মধ্যে আছে। চিকিৎসকরা মনে করছে, ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, এ কারণে রোগী মাঝেমধ্যে খিঁচুনি দিয়ে কেঁপে উঠছে। সবমিলিয়ে তার জ্ঞানের লেভেলও বাড়ছে না।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমাজতত্ত্ব বিভাগের মামুন মিয়ার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারও মাথার খুলিতে জখম হয়েছিল। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গতকাল সোমবার বিকেলে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়। তবে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বর্তমানে জ্ঞানের লেভেল ১৪ আছে। তিনি কথাবার্তা বলছেন। এ কারণে তাকে আমরা কেবিনে পাঠিয়ে দিয়েছি।

গত রোববার সংঘর্ষের সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ আহমেদের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হলে ওই দিন রাতে তার অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পরই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। 

এমআর/এমজে