দেশের জ্বালানি খাত ভর্তুকিতে ডুবে থাকলেও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পেট্রোবাংলা গত পাঁচ বছরে কর্মীদের এক্স-গ্রেশিয়া, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড এবং বিভিন্ন প্রণোদনা বাবদ ১ হাজার ২৪৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।

সম্প্রতি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (ইএমআরডি) সাম্প্রতিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত গ্যাস খাতে ৩৬ হাজার ৭১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে গত পাঁচ বছরেই ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৭১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। কিন্তু একই সময়ে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো বোনাস ও সুবিধা বাবদ খরচ করেছে ১ হাজার ২০০ কোটির টাকার বেশি।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, তিতাস গ্যাস, বাখরাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এবং মাধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লোকসান গুনেও কর্মীদের এক্স-গ্রেশিয়া দিয়েছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ডব্লিউপিপিএফ বাবদ ১৮২ কোটি টাকা,বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি এক্স-গ্রেশিয়া বাবদ ৬৩.৮৫ কোটি টাকা,তিতাস গ্যাস প্রণোদনা বাবদ ৪৬.০৫ কোটি টাকা প্রদান করেছে।

এছাড়া সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড এবং রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও বড় অঙ্কের বোনাস দিয়েছে। এমনকি লোকসানে থাকা মাধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিংও এক্স-গ্রেশিয়া দিয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেদনে বেশ কিছু অনিয়মও উঠে এসেছে,তার মধ্যে রয়েছে লোকসানে থেকেও বোনাস দেয়া,ডব্লিউপিপিএফ প্রদানে সঠিক হিসাব না মানা,আর্থিক সামর্থ্যের বাইরে ব্যয় করা, ব্যয় নিয়ন্ত্রণের কোনো সূচক ছাড়াই প্রণোদনা অনুমোদন ইত্যাদি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পেট্রোবাংলা তার কর্মীদের যে বোনাস প্রদান করেছে,তা অবৈধ।বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে হবে।

ওএফএ/এআইএস