বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরে সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। এরপর শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম আগের মতো চালু হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা কর্মসূচি আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পর হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি ক্লাস শুরু হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে একটি গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনলাইনে পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে। সারা বছরই যাতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে এজন্য একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালুর বিষয়টি বিবেচনাধীন।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফেরদৌসী ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। যেসব জেলায় একটিও বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।

সংসদ সদস্য সহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। নীতিমালার আলোকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয় সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৪৯৯ স্কুলের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টি এবং ৪ হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টি কলেজে অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের পরিকল্পনা নেই

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৩ সালে তিনটি ধাপে ২৬ হাজার ১৯৩ টি রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

এইউএ/জেডএস