ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ভূমি প্রতিটি মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আবার এই ভূমি সম্পর্কে জনগণের জানাও কম। সে ক্ষেত্রে ডিজিটাইজড ভূমিসেবা সবার জন্য সহায়ক। ডিজিটাল ভূমিসেবা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে আরো বেশি প্রচারণার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ভূমিসেবা ডিজিটাইজড করতে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। বৈচিত্র্যময় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমরা ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের কাজ করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাইজড ভূমিসেবায় নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে ভূমিসেবা অ্যাপস। 

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি বিষয়ক ইন্টিগ্রেটেড অ্যাপের প্রস্তুতিকরণ সংক্রান্ত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

সিনিয়র সচিব বলেন, ডিজিটাইজড সেবা নিতে জনগণকেও ডিজিটাইজড হতে হবে। কল সেন্টারের সেবা নিয়ে অধিকাংশ সেবাগ্রহীতা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কল সেন্টারের মতো ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র সবার জন্যই খুবই উপযোগী।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীর মধ্যে ৩০% উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল ব্যবহার করে। সে দিকে লক্ষ রেখে এই সেবা আরো সহজ, জনবান্ধব করতে ভূমিসেবা অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। সব ধরনের সেবার সন্নিবেশ রয়েছে অ্যাপসে। এর মাধ্যমে যেন ভূমির সব সেবা দেওয়া যায় এবং একটি সেবা যেন আর একটি সেবা দেওয়ার চাহিদা তৈরি করে সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এতে আরো অনেক ফিচার সংযোজনের সুযোগ রয়েছে। তাই অ্যাপটি অধিকতর সহজবোধ্য করতে হবে, যাতে করে সাধারণ মানুষও এই সেবা সহজে নিতে পারে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শরিফুল ইসলাম, মো. এমদাদুল হক চৌধুরী ও মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ভূমিসেবা স্পেশালিস্ট মো. হামিদুর রহমান ও মো. হান্নান মিয়া। 

এসএইচআর/বিআরইউ