চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে হকার্স ইউনিয়নের বিক্ষোভ
সিটি করপোরেশনের নাম ভাঙিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের নেতারা। প্রতিবাদে দ্রুত এসব চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান। এ সময় হকার্স ইউনিয়নের নেতারা নিজেদের পরিশ্রম করা পয়সা কোনো চাঁদাবাজকে দেবেন না বলে ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ঈদের আগ থেকে সিটি করপোরেশনের সরকারি দলের নামে ও ছত্রছায়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পোষা বাহিনীরা ফুটপাতে হকারদের ওপর জুলুম-নির্যাতন-হুমকি-ধামকি দিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছে। চাঁদা না দিলে ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ, মারধর ও জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়।
হকার্স ইউনিয়নের নেতারা আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের নাম লিখে যে রসিদের মাধ্যমে দৈনিক প্রতি হকার থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়, সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন নাকি কিছুই জানে না। সংগঠন থেকে আমরা সরকার ও সিটি করপোরেশনকে অনেকবার প্রস্তাব দিয়েছি সাপ্তাহিক অথবা মাসিক ভিত্তিতে হকারদের কাছ থেকে টোল/ট্যাক্স নেওয়ার। তাহলে ফুটপাতে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সরকার বা সিটি করপোরেশন এ প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবীর বলেন, আমরা নিম্নআয়ের মানুষ। যা আয় করি তা দিয়েই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এর ওপর যদি আবার চাঁদা দিতে হয় তা হবে আমাদের ওপর জুলুম।
সমাবেশে বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ চাঁদাবাজি বন্ধ এবং চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা না হলে হকার্স ইউনিয়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঘেরাও করবেন বলে ঘোষণা দেন। তারা বলেন, সরকারি যে নিয়ম রয়েছে সে নিয়মে যা চাঁদা দিতে আমরা রাজি আছি। কিন্তু যেটা সরকারের কোষাগারে জমা হবে না জলুমকারীদের পকেটে যাবে সেই চাঁদা কখনো দেব না।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, সহ-সভাপতি আবুল কামাল আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিমউদ্দিনসহ অনেকে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টনে এসে শেষ হয়।
একে/জেডএস