সীমান্ত হত্যার ফাইল ছবি

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হওয়ায় সরকারের কূটনৈতিক দুর্বলতাকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা।

তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অর্থবহ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। সীমান্ত হত্যা বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একেবারে গোড়া থেকে কাজ শুরু করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামতে দুই দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কয়েক বছর আগে সম্মত হয়েছে। তারপরও হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি বরং বেড়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বারবার দাবি করে, বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য গুলি করে। কিন্তু, বাস্তবতা তা প্রমাণ করে না।

১০ বছর আগে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ফেলানী হত্যায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ফেলানীর ঝুলন্ত দেহের ছবি ফলাও করে প্রচার হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের দাবি উঠলেও তা আজও সমাপ্ত হয়নি। ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশও আমলে নেওয়া হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

ভালো প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে চলাচলকারীদের সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আচরণ করে উল্লেখ করে ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ভারত সরকারের এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, তার সীমান্তরক্ষী বাহিনী মানুষের মৌলিক অধিকারকে সম্মান করছে এবং আইনের শাসন অনুসরণ করছে। বিএসএফ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে জাতিসংঘের সাধারণ নীতিমালা মেনে চলতে প্রকাশ্যে আদেশ দেওয়া উচিত।

বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি তোলার পরামর্শ দিয়ে ন্যাপের এই নেতা বলেন, সেখানে এ জাতীয় ঘটনার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই অভিযোগ দিতে পারবে। প্রয়োজনীয় প্রমাণও জমা দেবে উভয়পক্ষ। কমিশনটি হবে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ।

সভায় ন্যাপের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, শান্তা আক্তার, এহসানুল হক জসীম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. কামাল ভুইয়া, মো. শহীদুননবী ডাবলু, মতিয়ারা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, উপ-সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, সাদিয়া ইসলাম ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচআর/এসআরএস