ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভোল্ট থেকে পৌনে ৪ কোটি টাকা উধাও হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই শাখারই দুই কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বংশাল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা তাদের ক্যাশ ইনচার্জ সরিয়ে নিয়েছেন বলে রাতে ব্যাংকটির ম্যানেজার আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে  ব্যাংকের বংশাল শাখার ক্যাশ-ইনচার্জ রিফাজুল হক, ম্যানেজার (অপারেশন) এমরান আহমেদকে আটক করা হয়। 

ব্যাংক শাখাটির ইন্টার্নাল অডিটে এ টাকা সরানোর বিষয়টি ধরা পড়ে বলেও জানান আবুল কালাম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হবে। পরে মামলাটি দুদকে চলে যাবে এবং আসামিদেরও আমরা দুদকে হস্তান্তর করে দেব। বিষয়টি দুদক তদন্ত করে দেখবে।

বৃহস্পতিবার রাতে টাকা উধাওয়ের বিষয়টি বুঝতে পেরে রাতেই ওই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বংশাল থানার ডিউটি অফিসার মাসুম বিল্লাহ। 

এ ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের হয়নি। 

এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখা ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক তাদের এই দুই কর্মকর্তাকে থানায় সোপর্দ করেছেন গতকাল রাতে। তার অভিযোগ ছিল, অডিটের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন ব্যাংকের ভল্ট থেকে তিন কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এই দুই কর্মকর্তা আত্মসাত করেছেন। আমরা আটক দুই কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠিয়েছি। আইনগত যে প্রক্রিয়া আছে সেটা আমরা এখন করছি।

কয়েক দিন আগেই ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ওই ব্যাংকের একজন আইটি অফিসারের ২ কোটি ৫৭ লাখ সরোনোর গল্প সামনে আনে পুলিশ। তিন বছরে ৬৩৭টি অ্যাকাউন্টের ১৩৬৩টি লেনদেনের মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এ ঘটনাটিও ব্যাংকের অডিটে ধরা পড়ে। তবে ততদিনে ঘটনার মূল হোতা চলে গেছেন ধরাছোয়ার বাইরে। 

এমএসি/এনএফ