অবসর-কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী লিয়াজোঁ ফোরাম।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। 

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, অবসর গ্রহণের পর শিক্ষক-কর্মচারীরা কল্যাণ ও অবসর ফান্ডে জমা রাখা অর্থ পেতে ২ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়ে অনেক শিক্ষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, অথচ তাদের জন্য পিআরএল (পূর্ব অবসর ছুটি) না থাকায় অবসরের পর কোনো মাসিক ভাতা পান না। ফলে চিকিৎসা ও জীবন-জীবিকার সংকটে পড়তে হয়

বক্তব্যে বলা হয়, কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ শতাংশ কর্তন নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তী সময়ে সরকার অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন শুরু করে। তবে এর বিপরীতে কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী লিয়াজোঁ ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার করা রিট মামলায় হাইকোর্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন। রায়ে বলা হয়, অবসরের ছয় মাসের মধ্যে টাকা প্রদান করতে হবে এবং অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতার বিষয়টি দ্রুত সমাধানের পাশাপাশি বেতন-স্কেল সংস্কার, বদলি কার্যক্রম চালু, প্রমোশনের সুযোগ সৃষ্টি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানানো হয়। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

ওএফএ/এমএন