ডিজিটাল অপরাধ বর্তমান সময়ের একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। শুক্রবার (১৮ জুন) ঢাকায় বেসরকারি সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাইবার অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে ডিজিটাল অপরাধের মাত্রা তত বাড়বে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদ, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, সচেতন করতে হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ডিজিটাল অপরাধ থেকে শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করতে বাবা-মা, শিক্ষক-অভিভাবকদের প্যারেন্টাইল গাইডেন্স সম্পর্কে ধারণা থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, প্যারেন্টাইল গাইডেন্সের মাধ্যমে শিশুদের ডিজিটাল অপরাধের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু অভিভাবকদের এ বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে তা প্রয়োগের হার খুবই কম।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, মোবাইল ছাড়া প্রাথমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর পাঠগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। শিশুটি অনলাইনে ক্লাস করা ছাড়া অনলাইনে কী করে অভিভাকদেরই তা মনিটরিং করা দরকার। অভিভাবকদের দায়িত্ব পালন যথাযথভাবে না হলে নতুন প্রজন্মকে সঠিক জীবন যাপনে সহায়তা করতে পারব না।

তিনি বলেন, আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লব অংশগ্রহণ না করেও কৃষিযুগ থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে প্রবেশ করেছি এবং এর নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছি। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার আগে আজকের এই বিস্ময়কর অগ্রগতি ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন সংক্রান্ত ধারণা ছিল না। 

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল অপরাধ অনেক বিস্তৃতি লাভ করেছে। সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতার অভাবে অনেকে বিপদগ্রস্ত হচ্ছেন। 

মন্ত্রী পাসওয়ার্ডসহ কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল অপরাধ দমনে পুলিশের ডিজিটাল অপরাধ টিমের দক্ষতা অনেক বেশি। ডিজিটাল কানেক্টিভিটি দেশে সম্প্রসারিত হওয়ায় এই অপরাধটি কেবল শহর কেন্দ্রিক নয় এটি সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। তৃণমূল পর্যন্ত পুলিশের ডিজিটাল ইউনিট গঠন করা এখন সময়ের দাবি।

সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মোস্তাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মনির হাসান, ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সেক্রেটারি আবদুল হক অনুসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য আলোকপাত করেন।

একে/ওএফ