রাজধানীর কদমতলী থানার মদিনাবাগ এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে মারিয়া আক্তার সীমা (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে জনতাবাগ হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালের দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমার মেয়ে স্থানীয় জনতাবাগ হাই স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সকালে সে সবার অগোচরে গলায় ফাঁস দেয়। পরে আমরা দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে নিচে নামাই। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠায়।

তিনি আরো জানান, কি কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়টি আমরা পর্যন্ত জানতে পারিনি। আমার তিন মেয়ের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।

কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ জানান, আমরা খবর পেয়ে সকালের দিকে ওই বাসায় যাই। সেখান থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠাই। তার পরিবার জানিয়েছে সেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে সে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

এসএএ/জেডএস