প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

প্রথম আলো

কোন জেলার কৃষিজমিতে লাভ বেশি, কোনটিতে কম

দেশের কৃষিজমির মধ্যে খুলনা বিভাগের কৃষিজমি সবচেয়ে বেশি লাভজনক। এই বিভাগের ৫৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ কৃষিজমিতে যে চাষাবাদ হয়েছে, তা টানা তিন বছর লাভজনক ছিল। এরপরই রয়েছে বরিশাল ও রংপুর বিভাগ। তবে লাভের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে সিলেট বিভাগ। জাতীয় পর্যায়ে ৪৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ কৃষিজমি লাভজনক।

আজকের পত্রিকা

জামায়াতে আগ্রহ বিদেশিদের

জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত দুই মাসে এমন অন্তত ৩০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু এবং নির্বাচনের পরে জামায়াতের ভূমিকা কী হবে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বণিক বার্তা

লক্ষণ বদলে যাওয়ায় দেরিতে শনাক্ত হচ্ছে ডেঙ্গু

টানা কয়েকদিন জ্বরে ভোগার পর হাসপাতালে যান চাঁদপুরের বাসিন্দা কামাল হোসেন (৩০)। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। সে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘জ্বর নিয়ে তিনবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। চিকিৎসক অনেক পরীক্ষা দিয়েছেন, কিন্তু ডেঙ্গুর দেননি। বারবারই বলেছেন ডেঙ্গুর কোনো লক্ষণ নেই। তিন সপ্তাহ জ্বরে ভোগার পর হাত-পায়ে র‍্যাশ দেখা দেয়, শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন হাসপাতালে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।’

আজকের পত্রিকা

১২ অক্টোবর থেকে ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা, টাকা চাইলে ব্যবস্থা

জাতীয় ক্যাম্পেইনে এবার পাঁচ কোটি শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। কেউ কোনো টাকা আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এই টিকার মান শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরই এটি জাতীয় ক্যাম্পেইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে এই টিকা দেওয়ার নিবন্ধন ছাড়াও ম্যানুয়ালি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

কালের কণ্ঠ

আলোচনায় সেফ এক্সিট বিব্রত উপদেষ্টারা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের মন্তব্যে তোলপাড় চলছে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে। পর্দার আড়ালে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে কানাঘুষা চলছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বণিক বার্তা

রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বশাসিত ২৩২ প্রতিষ্ঠান সংস্কারে নেই কোনো উদ্যোগ

দেশে বর্তমানে ২৩২টি স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত ও বিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০২৪ সালের জুন শেষে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকা। জনবল রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও জনবল কাজে লাগিয়েও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সম্মিলিতভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফা করতে পারেনি, বরং ৫ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা নিট লোকসান হয়েছে। এ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫০ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা অনুদান দিতে হয়েছে। উপরন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের ঋণের দায়ও সরকারকে বহন করতে হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে অনেক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার ধারাবাহিক নজির দেখা গেলেও এগুলো সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমন্বিত উদ্যোগ এখনো দেখা যায়নি।

কালের কণ্ঠ

বিপন্ন ব্যবসা বিনিয়োগ কর্মসংস্থান শঙ্কায় ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা

ব্যবসা-বাণিজ্যিক পরিস্থিতি নাজুক সময় পার করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতিতে কমবেশি সবার মধ্যেই নিরাপত্তা ও আস্থাহীনতা। ফলে এর প্রভাব পড়েছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে। উচ্চ সুদের হার, ডলারের উচ্চমূল্য, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি কম এবং পণ্যের চাহিদাও কমে গেছে।

যুগান্তর

সাড়ে ৩ বছরে অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ

রেলের গুরুত্বপূর্ণ তিন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিরাজ করছে শম্বুকগতি। এসব প্রকল্পে গড়ে সাড়ে ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও গড় ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তবে আর্থিক অগ্রগতি আরও কম অর্থাৎ ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ফলে মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রকল্পগুলো হলো-বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি ব্রডগেজ (বিজি) যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ, জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম-দোহাজারী মিটারগেজ রেলপথকে ডুয়েলগেজ রেলপথে রূপান্তর প্রকল্প। ৭ সেপ্টেম্বর এ তিন প্রকল্পের পৃথক প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভায় সভাপতিত্ব করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন। সেখানে ধীরগতির জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করে সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

বণিক বার্তা

যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি ডাক বিভাগ, হাজার কোটি টাকা ব্যয়েও ফেরেনি আস্থা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বড়হরে অবস্থিত অবিভাগীয় শাখা পোস্ট অফিস। সামনেই পুরনো পোস্ট বক্স। রোদ-বৃষ্টিতে রঙ উঠে গেছে, তালায় ধরেছে মরিচা। কতদিন ধরে খোলা হয়নি, তার হিসাব নেই। এ ডাকঘরে ১৭ বছর ধরে পোস্টম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমিনুল ইসলাম। জানালেন, দীর্ঘ কর্মজীবনে একটি চিঠিও আসেনি। মাঝে মাঝে পরিষ্কারের জন্য বক্সটি খোলা হয়। শুধু বড়হর নয়, দেশের অধিকাংশ পোস্ট অফিসের চিত্র এমনই। একসময় চিঠি, টাকা-পয়সা, দলিলপত্র পাঠানোর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল এ ডাক। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারার কারণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি এখন বিলুপ্তির পর্যায়ে।

যুগান্তর

ডিএমপির ‘মাথাব্যথা’ ভাসমান অপরাধী

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ‘মাথাব্যথা’র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফ্লোটিং ক্রিমিনাল বা ভাসমান অপরাধী। চুরি, ছিনতাই, খুন, মাদক বিক্রি, ধর্ষণ থেকে শুরু করে হেন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করে না। টাকার বিনিময়ে ভাড়ায়ও খাটছে এসব অপরাধী। অংশ নিচ্ছে টার্গেট কিলিংয়েও। এদের বেশির ভাগেরই বসবাসের কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই; আজ এক এলাকায় তো কাল অন্য এলাকায়। বাসা বদল করে ঘনঘন। আবার ভাসমান অপরাধীদের একটি অংশ রাস্তাঘাটেও রাত্রিযাপন করে। তারা এক এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করেই আত্মগোপনে যায় অন্য কোনো এলাকায়। এদের একটি বড় অংশ থাকে রাজধানীর উপকণ্ঠে। তারা দলবেঁধে রাজধানীতে এসে অপরাধ সংঘটিত করে ফের চলে যায়। এসব অপরাধীর শিকার ভুক্তভোগীরা মামলা করেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না।

সমকাল

গণভোটের সময় নিয়ে মতবিরোধ এখনও মেটেনি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের আয়োজন করার সময় নিয়ে এখনও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। সাত মাস ধরে সংলাপ শেষেও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি তাদের আগের অবস্থানেই রয়েছে। বিএনপি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজনের অবস্থানে অনড়। জামায়াতে ইসলামী আগের মতোই সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে নভেম্বরে গণভোট চায়। আর সাংবিধানিক আদেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এনসিপিও নির্বাচনের আগে গণভোট চায়।

কালবেলা

সোনার দরে আগুন ঝরে

নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে যুগ যুগ ধরে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে স্বর্ণ। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো বাংলাদেশেও উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত সবার সঞ্চয় ও আর্থিক নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয় উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের খনিজ এ ধাতুটি। যখনই বৈশ্বিক কোনো সংকট দেখা দেয় বা অনিশ্চয়তা বাড়ে, তখনই আলাদা করে বাড়ে স্বর্ণের কদরও। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাম বাড়ে বাংলাদেশেও। বর্তমানে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছে স্বর্ণের দর। এর আগে স্বর্ণের দাম কখনোই এতটা বাড়েনি। শুধু দেশের ইতিহাসেই সর্বোচ্চ নয়, বর্তমান আন্তর্জাতিক দরকেও ছাড়িয়েছে। এমনকি প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক দেশগুলোর তুলনায়ও স্বর্ণের এ দর অনেক বেশি। দেশের স্বর্ণবাজারে রেকর্ড এই ঊর্ধ্বগতির নেপথ্যে শুধু বৈশ্বিক প্রভাবক নয়, কাজ করছে স্থানীয় একাধিক অদৃশ্য চালিকাশক্তিও।